পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপণ ব্যবস্থায় কিছু উন্নয়ন ঘটিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়া চারটি প্লুটোনিয়াম উৎপাদন চুল্লি স্থাপন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রমও বাড়িয়েছে। আগামী ১০ বছরে পরমাণু অস্ত্রের মজুদ পাকিস্তান আরো বাড়াবে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। পাকিস্তানের মজুদ পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা বর্তমানে ১৩০ থেকে ১৪০টি হতে পারে এবং আগামী এক দশকে পরমাণু অস্ত্রের সংখ্য ২২০ থেকে ২৫০টিতে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করা হয়। একটি সূত্র জানায়, পরমাণু অস্ত্রের ভা-ার আরো সম্প্রসারিত করতে কাজ করছে পাকিস্তান। এছাড়া এফ-১৬ যুদ্ধবিমানসহ আরো কিছু যুদ্ধবিমান পরমাণু অস্ত্র বহন ও নিক্ষেপের উপযোগী করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।
পরমাণু অস্ত্রসংক্রান্ত ম্যাগাজিন বুলেটিন অব অ্যাটোমিক সায়েনটিস্টস’র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করেছে। হানস এম ক্রিস্টেনসেন ও রবার্ট এস নরিসের যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গ্যারিসন ও বিমান বাহিনীর ঘাঁটিগুলোর বিপুলসংখ্যক বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে মোবাইল লাঞ্চার ও ভূগর্ভস্থ ব্যবস্থাপনা দেখা যায়, যা পরমাণু অস্ত্রসংক্রান্ত কর্মযজ্ঞ বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তানি পরমাণু শক্তির ওপর ২০১৬ সালের এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটি তাদের পরমাণু অস্ত্রের কার্যক্রম বাড়াচ্ছে। ওয়ারহেড ও উৎক্ষেপণ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে এবং ফিসাইল পদার্থের উৎপাদনে নতুন ইন্ডাস্ট্রি বাড়ছে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, যদি বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে ২০২৫ সাল নাগাদ পাকিস্তানের মজুদ পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা দাঁড়াবে ২২০ থেকে ২৫০টিতে। যদি সত্যি তাই ঘটে তাহলে বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ পরমাণু শক্তির দেশ হবে পাকিস্তান। তবে আগামী এক দশকে ৩৫০টি পরমাণু অস্ত্রের মালিক হয়ে বিশ্বের তৃতীয় পরমাণু শক্তির দেশ হওয়া পাকিস্তানের পক্ষে সম্ভব নয় বলে বিশ্বাস করেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, এ লক্ষ্য অর্জনে তাদের বিগত দুই দশকের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি গতিতে কাজ করতে হবে, যা বাস্তবে অসম্ভব।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছে এখন ১৩০ থেকে ১৪০টি পরমাণু অস্ত্র আছে। ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল, ২০২০ সালের মধ্যে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা ৬০ থেকে ৮০টিতে দাঁড়াবে। কিন্তু এখনই সেই সংখ্যা অনেক বড় হয়ে গেছে। ২০২০ সাল আসতে আসতে পরমাণু অস্ত্রের দিক থেকে ধারণার চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাবে পাকিস্তান। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন