সুপ্রিম কোর্ট বারের সামনে রক্ষিত একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। গাড়িটি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সিনিয়র অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের। তিনি অভিযোগ করেন, কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়ে গাড়িটি ভাঙচুর করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশ করে ছাত্রলীগ আমার গাড়িতে হামলা করেছে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে আমার গাড়ির পেছনের সম্পূর্ণ গ্লাস ভেঙে গেছে। আমি কার কাছে বিচার চাইবো? বিচার চেয়ে লাভ নেই। এ দেশে বিচার নেই।
এ বিষয়ে তৈমূর আলমের কন্যা ব্যারিস্টার মারিয়াম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করে পরাজিত হন। পরে দল (বিএনপি) থেকে বহিষ্কার হন। এরপরও এভাবে গাড়িতে হামলার ঘটনা আশ্চর্যজনক। তিনি প্রশ্ন রাখেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের মতো এলাকায় হকিস্টিক, রামদা, রড, লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রলীগ কীভাবে হামলা করলো?
ছাত্রলীগের কর্মীরা ছাত্রদলের কর্মীদের ধাওয়া করার পরে তারা ভয়ে দৌড়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশ করে। সেখানেও তারা ছাত্রদলের ছেলেদের চাপাতি, রড দিয়ে মেরে গুরুতর আহত করে। আমাদের কিছু আইনজীবীও মারাত্মক আহত হয়েছেন। আমার বাবার গাড়িসহ বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করেছে তারা। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার পরে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে প্রবেশ করে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে এলোপাতাড়ি লাঠি দিয়ে আঘাত করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় দু’জন আইনজীবী এগিয়ে গেলে তাদেরও ছাত্রলীগের কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের।
সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে ছাত্রলীগের এমন হামলার প্রতিবাদে বিএনপির আইনজীবীরা তাৎক্ষণিক মিছিল ও সমাবেশ করেন। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভুইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন