বর্তমানে মিসরে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। বেশ কিছু দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থায় দেশবাসীকে গাছের পাতা খেতে বললেন মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। মহানবি (সা.) উদাহরণ অনুসরণ করে মিসরবাসীকে শান্ত থাকতে তিনি এ উপদেশ দেন। এক টুইটে আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন, মিসরীয়রা মহানবির (সা.) সাহাবাদের উদাহরণ জানে। মক্কায় কোরাইশদের অবরোধের মুখে মহানবি (সা.) ও সাহাবারা তিন বছর গাছের পাতা খেয়েছিলেন। তারা বিশ্বনবিকে জিজ্ঞাসা করেনি কেন জমিনের বুক চিড়ে খাবার বের হচ্ছে না। ওই সময় মুসলিমরা যেমন কোনো অভিযোগ করেনি, এখনও মিসরীয়রা ধৈর্য ধারণ করবে, অবিলম্বে সমাধান দাবি করবে না। প্রসঙ্গত, করোনা এবং বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মিসর ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে গেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, জ্বালানি ও খাবারের দাম আরও বাড়লে মিসরে সামাজিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। মিডলইস্ট মনিটর এ খবর জানায়। অপরদিকে, ভয়াবহ খাদ্য সংকটের শঙ্কায় মিসর। কৃষ্ণসাগর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। তাই বিপর্যয় এড়াতে কৃষকের কাছ থেকে গম কিনে তা মজুদ করছে দেশটির সরকার। চলতি বছরে অন্তত ৬০ লাখ টন গম মজুদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কায়রো। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কৃষ্ণসাগর দিয়ে মিসরে বন্ধ হয়ে গেছে পণ্য সরবরাহ। তাই দেখা দিতে পারে আমদানিনির্ভর খাদ্যের ভয়াবহ সংকট। এ কারণেই আগাম খাদ্য শস্য মজুদ করে রাখছে দেশটি। বিশেষ করে গমের মজুদ বাড়াচ্ছে কায়রো। মিসরের একজন কারখানাকর্মী বলছেন, অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবছর বেশি গম কিনে রাখছে সরকার। তাই দিন রাত মিলে কাজ করতে হচ্ছে। আগে বিকেল ৪টায় বের হয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু এখন মধ্যরাত পর্যন্ত এখানে থাকতে হয়। আরও বেশ কিছুদিন এই চাপ থাকবে আমাদের। মূলত, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ভর্তুকি দিয়ে কিনে রাখা হচ্ছে এসব ফসল। যেন কেউ ব্যক্তিগতভাবে মজুদ করতে না পারে এবং সহসাই খাদ্যের অভাব যেন না দেখা দেয় সে জন্যই এমন উদ্যোগ। কৃষকরা বলছেন, বিদেশ থেকে কোনো খাদ্য না আমদানি হওয়ায় বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা করছেন তারা। মিসর সরকার জুনের মধ্যে কিনতে চায় অন্তত ৩০ লাখ টন গম। মিডলইস্ট মনিটর, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন