বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বিদ্রোহ চট্টগ্রাম থেকেই হয়েছে। জিয়াউর রহমান দেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা। তিনি পাকিস্তানের সৈন্যদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। পাকিস্তানিদের হত্যা করে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। নেতারা কিন্তু যুদ্ধের অগ্রভাগে থাকে না, তিনি যুদ্ধে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বাংলাদেশের বিশাল অংশ মুক্ত করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি দেশের ক্ষমতা নেয়ার পর বাংলাদেশের জন্য প্রথম একটি দর্শন প্রণয়ন করেন। একটি ভাবনা দিয়েছেন, একটি চিন্তা দিয়েছেন। সেটি হলো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। তিনি গতকাল রোববার নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় আমীর খসরু বলেন, জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সমান সুযোগ রেখেছিলেন। কারণ এর আগে ছিল রাষ্ট্র পরিচালিত অর্থনীতি। অর্থাৎ আওয়ামী পরিচালিত অর্থনীতি। বাকশাল পরিচালিত অর্থনীতি থেকে বের হয়ে সবাই যাতে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে, সেই দর্শন তিনি প্রণয়ন করেন। বিএনপি থাকলে অর্থনীতির গতি আরও বেড়ে যেত। বর্তমানে কিছু লোকের হাতে অর্থনীতি চলে গেছে। এই অর্থনীতিকে ফিরিয়ে আনতে হলে জিয়াউর রহমানের অর্থনীতি দর্শন নিয়ে আসতে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, তারেক রহমান দেশে আসলে বিপ্লব হয়ে যাবে। বেগম খালেদা জিয়াকে একবার জনসম্মুখে আসতে দেন, দেখেন দেশে কী হয়। পুলিশের সাবেক আইজি শহিদুল হক বলেছেন- আওয়ামী লীগের জন্য ঠিকমতো কাজ করতে পারেন না। তাদের অত্যাচারে কাজ করা যায় না। পুলিশ ভাইদের বলব, এখনই সময় জনগণের সঙ্গে থাকার। বিপদে পড়লে এরা আপনাদের সাহায্য করবে না। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান এই চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ আসেনি। বিশ্বের নেতারা বলেছেন, জিয়াউর রহমানের মতো দেশপ্রেমিক মানুষ হয় না। তারেক রহমান তার যোগ্য উত্তরসূরী। তিনি আসলে দেশের সব মানুষ তার হয়ে কাজ করবেন।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, আলোচনা সভা শেষে নেতাকর্মীরা বের হওয়ার সময় সভাস্থলে অতর্কিত বিষাক্ত গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে শ্বাসকষ্ট ও চামড়া, বুক জ্বালায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর সহ শতাধিক নেতাকর্মী। এ সময় কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মাহবুবের রহমান শামীম, আবুল হাশেম বক্কর, আবু সুফিয়ান, প্রফেসর ড. সিদ্দিক আহমেদ, প্রফেসর ড. নসরুল কদির, প্রফেসর ড. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন