বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

ভিত্তিহীন গণকমিশনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে

বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২২, ৮:৪৬ পিএম

কওমি মাদরাসা ও জাতির বিবেক আলেমদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চলছে। ভিত্তিহীন গণকমিশনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক সম্মেলন ও বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঃ কোরআন ও সুন্নাহর সহীহ খেদমত নিরলসভাবে আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে ওলামায়ে কেরাম ও কওমি মাদরাসাগুলো। কওমি মাদরাসা ও জাতির বিবেক আলেমদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।
রোববার রাতে ফরিদপুর সদরের একটি মাঠে আয়োজিত বিশাল ইসলামী সম্মেলন ও হালকায়ে জিকিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে ফরিদপুরের বিশষ্টি ওলামায়ে কেরাম ও মসজিদের ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন।
মুফতী ফয়জুল করী বলেন, ওলামায়ে কেরাম দেশ, ইসলাম ও মানবতার পক্ষে কাজ করে থাকেন। তারা মানুষকে ঈমান, আমল, দেশপ্রেম, খেদমতে খালক শিক্ষা দিয়ে থাকেন। চরমপন্থা জঙ্গিবাদ, মাদক সন্ত্রাসের ভয়াবহতা তুলে ধরে এ থেকে ফিরে আসার শিক্ষা দেন। তিনি বলেন, । তিনি বলেন, ওয়াজ মাহফিল দেশের হাজার বছরের একটি সংস্কৃতি। ওয়াজ মাহফিল শান্তি-সমৃদ্ধি, আদর্শ সমাজ গঠন ও সমাজ সংস্কারের অন্যতম মাধ্যম। এর মাধ্যমে মানুষকে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণের পথনির্দেশ করা হয়। সমাজের সকল অনাচার, অন্যায় এবং ভুল থেকে ফিরিয়ে মানুষকে সৎপথে ও কল্যাণের পথে চলতে উদ্ধুদ্ধ করা হয়। ওয়াজ মাহফিলে আলেমগণ ধর্মের বিশুদ্ধ বার্তা মানুষের দ্বারেদ্বারে পৌঁছে দেয়ার জন্য বহুমুখী ত্যাগ তিতিক্ষা করে থাকেন। এ সংস্কৃতি ধ্বংস করতে যারা কাজ করছে তারা ইসলাম ও মাবতার দুশমন। তারা দেশপ্রেমিক হতে পারে না।
ভিত্তিহীন গণকমিশনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ঃ
দেশের ১০০০ মাদরাসা ও ১১৬ জন ইসলামী আলোচকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়ের করা মিথ্যা অভিযোগকারী ঘাদানিক ও গণকমিশনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।
তিনি বলেন, তথাকথিত গণকমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিষ্টার তুরিন আফরোজগংরা প্রকৃত দুর্নীতিবাজদের আড়াল করতে দেশের আলেমদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দায়ের করেছে এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় ওলামায়ে কেরামদের মানহানি করার অপচেষ্টা চালিয়ছে। তাদের এই তালিকা মিথ্যা, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। উলামায়ে কেরাম কখনোই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকতে পারে না । যারা আলেমসমাজের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে তারা নিজরাই দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ও গণধিকৃত। গনকমিশনের সাথে জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনীব্যবস্থা নিতে হবে।
আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, মাওলানা সাঈদুর রহমান, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা রুহুল আমিন ও মাওলানা সাইফুল ইসলাম জামালী,মাস্টার আনছার উদ্দিন হাওলাদার।
দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টি ঃ কথিত গণকমিশনের ইসলাম বিদ্বেষী চক্রটি কখনও আলেম উলামা ও মসজিদ মাদরাসাকে বরদাস্ত করতে পারছে না । এরা সরকার ও আলেমসমাজের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করতে চায়। দেশপ্রেমী তৌহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে আলেমসমাজ মাঠে নামলে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকরা পালাবার পথ পাবে না। আলেমগণ এদেশের ৯৫ মুসলমানদের আস্থা ও ভালবাসার পাত্র । অতএব এদেশের তৌহিদী জনতা ইসলামের শত্রুদের কোন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবে না। ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে ইনশাআল্লাহ। আজ সোমবার দেশপ্রেমিক নাগরিক পাটির উদ্যোগে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ হলরুমে তথাকথিত গণকমিশন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও আলেমদের সম্মানহানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিচারের দাবিতে আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শওকত হোসেন এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টি চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ১১৬ জন আলেমদের বিরুদ্ধে তথাকথিত গণকমিশন কর্তৃক ষড়যন্ত্র মূলক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে এ তালিকা বাতিল ও নাস্তিকদের শাস্তির দাবিতে আলেমদের নিজ নিজ এলাকায় প্রতিবাদ করা প্রয়োজন রয়েছে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কর্নেল (অব.) ফরিদুল আকবর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ফেডারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক ড. এ.আর খান, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেন, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান বাজলুর রহমান আমিনী, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, বাংলাদেশ ইসলামী সমাজতান্ত্রিক দলের চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ আইডিয়াল পার্টির চেয়ারম্যান কে.এম ইব্রাহিম খলিল, তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Dr. Mohammad Ziaul Hoque ৩১ মে, ২০২২, ৬:৩০ এএম says : 0
ইসলাম ধর্ম ও ধার্মিকদের অপমান, অপদস্ত ও অসম্মান করার লক্ষে নাস্তিক এবং ইসলাম-বিদ্বেষীদের দ্বারা গঠিত অবৈধ গণ কমিশণ দেশকে ইসলামশূন্য করার পায়তারা করছে। ধর্ম ব্যবসা-বাণিজ্যের কোন উপাদান নয়, বরং ব্যবসা-সংশ্লিষ্ট সকল অন্যায় ও অনিষ্ট হতে মানব জাতিকে রক্ষার জন্য ইসলাম ধর্ম সুনৈতিক নির্দেশনা দিয়েছে। এটা জেনেও কুবুদ্ধিজীবী ও ইসলাম-বিদ্বেষীরা আলেম-ওলামাদের ধর্ম-ব্যাবসায়ী বলছে যাতে সমাজে বাধাহীন অবিরাম যৌন ব্যাভিচার, উলঙ্গ সস্কৃতি, গণ-ধর্ষণ ও পরকীয়া চর্চা করা যায়। ধর্মের অনুশাসনমুক্ত ব্যভিচারী সমাজ কায়েমের এই হীন প্রচেষ্টা এখনই রুখে না দাঁড়ালে কভিদের মতো আল্লাহর অগণিত গজব নেমে আসব।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন