যারা কারসাজির মাধ্যমে চালের দাম বাড়িয়েছেন তাদের সতর্ক করেছেন শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। একই সঙ্গে বাজারে সরকারি মনিটরিং অব্যাহত রাখারও দাবি জানান তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, চালের দাম মিল মালিকরা বাড়িয়েছেন। কারণ, তারা মনে করেছেন ধান নষ্ট হয়েছে ঘাটতি হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘নিত্যপণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে চাল ব্যবসায়ীদের এসব কথা বলেন তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, হাওর এলাকায় ধান নষ্ট হয়েছে এজন্য চালের দাম বেড়েছে। এখন মোবাইল কোর্ট যাওয়ার পর কেজিতে দাম পাঁচ টাকা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সরকারের অভিযানকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, সরকার ধরছে দাম কমছে। এটা কি ঠিক? যদি সমস্যাই থাকতো তাহলে অভিযানের পর দাম কমতো না।
এফবিসিসিআই সভাপতি চাল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ধানের ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়িয়ে দেবেন, আর সরকার ধরপাকড় করবে না, এটা কি হয়? এখন ধান উঠছে, দাম কমছে, এ অবস্থায় চালের দাম কমার কথা। আপনি-আমি ব্যবসা করে খাই, ব্যবসা করবো। তার মানে কেজিতে ১০/১৫ টাকা বাড়াবেন, এটা কি হয়? আপনি হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেশিন আনছেন, এতে খরচ কমার কথা, তাহলে দাম কেন বাড়বে।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আসলে চালের সংকট না, সবার কাছে চাল আছে। ৫ থেকে ১০ শতাংশ ধান নষ্ট হয়েছে। তাতে এখনই কেন দাম বাড়বে। এটা তো আরও সাত মাস পরে বাড়বে। সুযোগ পেলেই দাম বাড়বে-এটা সরকার বা আমরা কেউ সহ্য করবো না। চাল ব্যবসা করে গুলশানে বাড়ি করছে, বিভিনড়ব স্থানে আরও ৮/১০টি করে বাড়ি আছে, আর সব সময় বলছেন লোকসান। তাহলে সম্পদ কীভাবে করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকার ধরাধরি কেন করবে? ধরাধরির যে সিস্টেম চালু হয়েছে, এটা ঠিক না। এখানে যারা আছেন, তাদের ৯৮ থেকে ৯৯ শতাংশ ভালো। দুই-এক জনের দায়িত্ব কেন আমরা সবাই নেবো। এখানে আমরা যারা এসেছি সবাই বুঝি। আমি নিজেও ধান উৎপাদন করি। কত খরচ কীভাবে কী হয়, আমি তা জানি।’ তিনি বলেন, খারাপ-ভালো ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আছে। পেঁয়াজ আমদানি ভারত থেকে বন্ধ করার পরের দিনই ১৫ টাকা কেজিতে দাম বেড়ে গেলো। অথচ আমদানির পেঁয়াজের দাম বাড়বে আরও পরে। কিন্তু দাম বাড়িয়ে দিলেন আমাদের ব্যবসায়ীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন