ব্লু ইকোনমি থেকে বছরে ৭০-৮০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব উল্লেখ করে চিটাগাং চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম বন্দরের শীর্ষক অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেছেন, রিজার্ভ বাড়াতে তেল-গ্যাস উত্তোলনে গুরুত্ব দিতে হবে। ডলারের দাম বেড়েছে। রফতানি না বাড়লে রিজার্ভে টান পড়বে। এজন্য বৈদেশিক মুদ্রা আহরণে দেশীয় সরকারি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে হবে। আরও নতুন নতুন আয়ের খাত বের করতে হবে। ব্লু ইকোনমিকে এগিয়ে নিতে অথরিটি করতে হবে। একই সঙ্গে দেশে উৎপাদিত হয় এমন পণ্য আসন্ন বাজেটে আমদানি নিষিদ্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার এবং চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের আজীবন দাতা সদস্য ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্রগতি প্রতিবছর যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বে-টার্মিনালের বিকল্প নেই। এখানে যে চ্যানেল বেরিয়েছে তা ব্লু ইকোনমির ফসল। দেশে অনেক বড় বিনিয়োগকারী রয়েছেন। তারা প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞ এনে বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে সক্ষম। চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব টার্মিনাল থাকবে। সিসিটি, এনসিটির ট্যারিফ নির্ধারণ করা আছে। এর সঙ্গে বে-টার্মিনালের সামঞ্জস্য থাকতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। খাদ্যশস্য রাশিয়া ইউক্রেন থেকে বেশি আসত। তেলের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়ায় সমস্যা ছিলো। তা আস্তে আস্তে প্রশমিত হচ্ছে। একইভাবে চালের ক্ষেত্রেও মূল্য সহনীয় রাখতে কৃষিতে নজর দিতে হবে। আমরা কৃষিনির্ভর দেশ। কৃষক ন্যায্য মূল্য না পেলে সে চাষ করবে না। শ্রমিক এবং চাষের উপকরণের দাম বেড়েছে। বাজেটে প্রান্তিক চাষিদের দিকে নজর দিতে হবে। ধানের ফলন বাড়াতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার করতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত দাম বাড়ানোর সঙ্গে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। ঢালাওভাবে অভিযোগ না করে এ ঘটনার জড়িতদের নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ী ও বে-টার্মিনাল পুরোদমে চালু হলে রিজিওনাল কানেকটিভিটি বাড়াতে হবে। একটি জাহাজে ১০-১২ হাজার কন্টেইনার আসবে, এতে আমাদের দেশের কন্টেইনারের পাশাপাশি বিদেশি কন্টেইনারও থাকতে পারে। তাই শিপিং লাইনগুলোতে এখনি ধারণা দিতে হবে। মাতারবাড়ী শুধু ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে বিশাল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। বন্দরে ট্যারিফ বাড়ানো প্রসঙ্গে বলেন, রিজিওনাল পোর্টের ট্যারিফ বিশেষ করে চীন, ভারত, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশের ট্যারিফ অনেক কম। বর্তমানে বন্দরে চার দিন ফ্রি কন্টেইনার রাখা যায়। চট্টগ্রাম বন্দরকে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করলে হবে না। বন্দরের খরচ আছে। তবে যৌক্তিকভাবে ট্যারিফ বাড়ানো যেতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন