কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফএ) ও বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের (এমওডিএমআর) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ব ব্যাংকের অনুদানে ডব্লিউএফএ-এর পক্ষ থেকে সেফটি নেট সিস্টেমস্ ফর দ্যা পুয়োরেস্ট (এসএনএসপি) প্রকল্পটির একটি অংশ স্ট্রেংদেনিং কমিউনিটি রিজিলিয়েন্স বাস্তবায়ন করা হবে। এটি চলমান এসএনএসপি-এর একটি বর্ধিত অংশ, যার মধ্যে রয়েছে এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম ফর দ্যা পুয়োরেস্ট (ইজিপিপি) ও ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ)। এগুলোর আওতায় দেশজুড়ে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
টানা কমিউনিটি সেবা ও কমিউনিটি ওয়ার্কফেয়ার বিষয়ক কার্যক্রমের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৮৫ হাজার পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে, যার মধ্যে রয়েছে নিরাপদে খাবার ধরা ও তা সংরক্ষণ করা, মা ও তত্ত্বাবধানকারীদের জন্য পুষ্টি শিক্ষা, বাড়িতে বাগান করা ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করা। পাশাপাশি যেসব পরিবারের বিশেষ সহায়তা দরকার, তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও তাদেরকে স্বতন্ত্র সহায়তা দিতে কাজ করতে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদেরকে উৎসাহিত করা হবে। বিশেষ একদল তরুণ পরিবেশের পুনর্বাসনমূলক কর্মকাণ্ড, যেমন-বৃক্ষরোপণ, চারাগাছের যত্ন নেওয়া ইত্যাদি কাজে নিযুক্ত থাকবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শতকরা ৬০ শতাংশই থাকবে নারী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের জীবন ও জীবনমানের উন্নয়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডব্লিউএফএ-এর এই সহযোগিতায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। ডব্লিউএফএ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এ আই জেন পিয়ার্স বলেন, এই এসএনএসপি কক্সবাজারে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের জন্য ডব্লিউএফএ-এর চলমান কর্মকাণ্ডগুলোর ইতিবাচক প্রভাব ও সেগুলোর কার্যকারীতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বৃহত্তর বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর অনেকের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ডব্লিউএফএ বদ্ধপরিকর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন