নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা পোশাক শ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোর দাবিতে মিরপুরে চতুর্থ দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। তবে আন্দোলনরত শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১৩ নম্বরে সড়ক অবরোধ করে কয়েকশ গার্মেন্টস শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় মিরপুর-১৩ থেকে ১৪ নম্বর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। মিরপুরে অবস্থিত জুকি, লোডস্টার, সারশ, ভিশন কারখানা, পলকা, এমবিএমসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা এই অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন।
বিক্ষোভ শুরুর পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর-১৩ নম্বর সড়কে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। এরপর শ্রমিকরাও মারমুখী হয়ে ওঠে। তারাও পুলিশকে লক্ষ্য করে এ সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনার ১০ মিনিট পর আন্দোলনকারীরা পিছু হটে ১৪ নম্বরের দিকে চলে যায়। এ সময় পুলিশ কয়েকজন শ্রমিককে আটক করে।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি, মালিকপক্ষ চলতি বছরে বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দিলেও এখনও কার্যকরি কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যদিকে বেতন বাড়ানোর কথা বললেই নানা অজুহাতে চাকরিচ্যুত করার ভয় দেখান শ্রমিকদের।
ভিশন কারখানার শ্রমিক আলমগীর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেতন ও ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলাম আমরা। মালিক পক্ষ আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও বেতন বাড়ানোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বেতন বাড়ানোর কথা বললেই চাকরি নেই বলে কারখানা থেকে বের করে দেয়া হয়। তিনি বলেন, এখন আমরা যে, বেতন পাই তাতে আমাদের সংসার চলে না। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাস অনেক বেড়ে গেছে।
এ বিষয়ে মিরপুর বিভাগের ডিসি আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, সড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ করেন এবং পরে তাদের সরিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। আমরা তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন