ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন মনে করেন শক্তিশালী এবং গতিশীল সুশীল সমাজ বাকস্বাধীনতা এবং কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য মৌলিক উপাদান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার নিজের অফিসিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন লিখেছেন, ‘বাকস্বাধীনতা এবং কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য মৌলিক বিষয় হচ্ছে শক্তিশালী এবং গতিশীল সিভিল সোসাইটি (সুশীল সমাজ)। যুক্তরাজ্য এবং সারা বিশ্বেই সরকার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহি করে সিভিল সোসাইটি অরগানাইজেশান (নাগরিক সংগঠন) গুলো। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সক্ষমতা থাকা উচিত।’
রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮-এর সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯-এর জানুয়ারি পর্যন্ত ফরেন এবং কমনওয়েলথ অফিসে ওয়েস্টার্ন বলকান প্রোগ্রামের অতিরিক্ত পরিচালক ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে নীতিনির্ধারণের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ওয়াশিংটনে ব্রিটিশ দূতাবাসের প্রেস অফিসার হিসেবেও অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেছিলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটবে। মধ্যম আয়ের দেশের জন্য বিশ্ব অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক একটি জায়গা। বাংলাদেশের চমৎকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ধরে রাখার জন্য অবশ্যই আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে হবে। প্রয়োজন হবে বিদেশি বিনিয়োগের। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করার আগে সবচেয়ে বেশি যার ওপর গুরুত্ব দেন তা হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। তারা প্রথমেই খুঁজেন সুশাসন। তাই আমার মনে হয়, বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রথম কাজ হচ্ছে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক সংস্কার যেমন নিশ্চিত হবে এর পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীরাও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আস্থা পাবে। এ কারণে আগামীর নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যাতে অবাধে ভোট দিতে পারে, রাজনৈতিক দলগুলো সভা- সমাবেশ করতে পারে এই বিষয়টির ওপর জোর দিতে হবে বেশি। নির্বাচনের আগে মুক্তভাবে বিতর্ক করার সুযোগ থাকতে হবে। মানুষ যাতে অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এই বিষয়টা আগামী নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুবই জরুরি। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল, আইনশৃংখলা বাহিনী সবাই মিলে এটা নিশ্চিত করতে হবে। সঠিকভাবে ভোট গণনা ও ফল প্রকাশের ওপর জনগণ এবং প্রার্থীদের যেন আস্থা থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে ভূমিকা রাখতে হবে। ফলাফল যাই হোক না কেন, মানুষকে সেটা মেনে নিতে হবে। এটাই নির্বাচনের রীতি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন