বর্তমানে করোনা ও ইউক্রেন সংকটে বিভিন্ন ধরনের সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও জনগণের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কল্যাণমুখী বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। গতকাল শুক্রবার বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।
বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের জনগণের চাহিদা ও আকাক্সক্ষা পূরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য বাজেটের এই আকার অবাস্তব নয়। দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজেটের আকারও প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাক্সিক্ষত রাজস্ব আদায়।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের চাহিদাকে বিবেচনায় নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে আরও সুদৃঢ় করতে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট প্রণয়নে জোর প্রচেষ্টা গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এতে বলা হয়, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বর্তমান সংকটময় বিশ্ব অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরিপোশাক শিল্পের ন্যায় সব ধরনের রপ্তানিমুখী কোম্পানির কর হারও ১২ শতাংশ করা হয়েছে। এটি বিসিআই’র দীর্ঘদিনের দাবির প্রতিফলন। এজন্য আমরা অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। তবে রফতানির ক্ষেত্রে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। যা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে রফতানির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে আমরা উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ পুনর্বহাল করার প্রস্তাব করছি।
এ বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই মূল চ্যালেঞ্জ। প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা উল্লেখ করা হলেও তা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না । মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা জরুরি।
বিসিআই বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য রেশনিং ব্যবস্থা জোরদার করা এবং বাজেটে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা দরে চাল সরবরাহের কথা বলা হয়েছে। আমরা এই চালের দর পূর্বের ন্যায় ১০ টাকায় নির্ধারণের প্রস্তাব করছি ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন