গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমরা সাধারণ মানুষের কথা বলতে চাই। মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলতে চাই। তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে চাই। সেই লক্ষ্যে যা কিছু হোক প্রয়োজনে সাহস নিয়ে একা একা নির্বাচনের মাঠে থাকতে হবে। সে লক্ষ্যে জেলায় জেলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করুন। ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়ার লক্ষ্যে এখন থেকেই পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হবে। গতকাল শনিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিলনায়তনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এই সংগঠনের চেয়ারম্যান। সকাল ১১টা বিকেল ৩টা পর্যন্ত বর্ধিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, অ্যাডভোকেট মজিবুল হক, হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ। বর্ধিত সভায় চট্টগ্রাম, খুলনা, জামালপুর, রাজশাহী, যশোর, দিনাজপুরসহ ২৪টি জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। এই সভায় ভাসানী অনুসারী পরিষদের আগের কমিটি বিলুপ্ত করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটিতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধান উপদেষ্টা, মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু আহ্বায়ক, হাবিবুর রহমান রিজু সদস্য সচিব এবং শাফায়াত কামাল দিব্য উপ সদস্য সচিব হয়েছেন।
সভায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশের যে পরিস্থিতি শিক্ষিত লোকের কদর ও সুযোগ কমছে। কর্মসংস্থান নেই। শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা ক্ষমতায় থাকলে এক বছরের মধ্যে ৫০ লাখ কর্মসংস্থান করতে পারতাম। শুধু যোগ্য লোক দরকার। এজন্য ক্ষমতায় যেতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ অপ্রতুল। শ্রমিকের জন্য সুখবর নেই। সবার সমালোচনা করার অধিকার থাকতে হবে। ফলে আমরা সমাধানে পৌঁছাতে পারবো। একসাথে আওয়াজ তুলতে হবে। আজকে দেখুন- বাজেটের টাকা যায় কোথায়? ১৬ শতাংশ যাবে শুধু সুদ পরিশোধে। জনপ্রশাসন, সামরিক বাহিনীসহ অন্য খাতে যাবে ৪৭ শতাংশ। এসব বদলাতে হবে। যুগের প্রয়োজনে সংস্কার করতে হবে। আমি আপনাদের সাথে সবসময় আছি এবং থাকবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন