২০২১ সালে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই বেড়েছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। এসময় বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ২৯০ কোটি ডলার। যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের সবশেষ প্রতিবেদন উঠে এসেছে এ তথ্য। একই বছরে দেশে আন্তর্জাতিক প্রকল্প অর্থায়নবিষয়ক চুক্তির সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ। তবে ২০২১ সালে দেশ থেকে বহির্মুখী এফডিআই প্রায় ৭ গুণ বেড়েছে। এসময় দেশ থেকে বেড়িয়ে গেছে ৯০ লাখ ডলার। আঙ্কটাডের প্রতিবেদন আনুযায়ী- করোনা মহামারির মধ্যেও এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে টানা ৩ বছর এফডিআই-এর প্রবাহ বেড়েছে। শুধু বিদেশি বিনিয়োগ নয়, প্রকল্পে আন্তর্জাতিক অর্থায়নেও বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে। এক বছরে আন্তর্জাতিক প্রকল্পের সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে।
মহামারীর ক্ষত সারিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসার সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেতে ওঠা আন্তর্জাতিক পণ্য বাজার বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশের অর্থনীতির সূচকগুলো নিম্নমুখী করলেও অর্থবছরের শেষ প্রান্তে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে ইতিবাচক এ খবর অর্থনীতির জন্য স্বস্তিরই।
আঙ্কটাডের সবশেষ বিশ্ব বিনিয়োগ বিনিয়োগ প্রতিবেদন ২০২২ এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশে এফডিআই আগের বছরের চেয়ে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে মহামারীর প্রায় আগের অবস্থানে চলে এসেছে। সংস্থাটির হিসাবে বিভিন্ন দেশ থেকে ওই বছর দেশে সরাসরি বিনিয়োগ এসেছে প্রায় ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন (২৮৯ কোটি ৬০ লাখ) ডলার। এর আগে পরপর দুই বছর এফডিআই অনেক বেশি হারে কমে ২০২০ সালে ছিল ২৫৬ কোটি ৪০ লাখ ডলারে এবং ২০১৯ সালে এর পরিমাণ ছিল ২৮৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারে নেমেছিল। তবে আঙ্কটাডের প্রতিবেদন বলছে, ইউক্রেইন যুদ্ধ ও বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় খাদ্য, জ্বালানি ও অর্থায়ন সংকটে ত্রিমুখী চাপ তৈরি হচ্ছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। জাতিসংঘের এই সহযোগী সংস্থার আশঙ্কার প্রভাব ইতিমধ্যেই বাংলাদেশসহ এই কাতারের দেশগুলোতে পড়তে শুরু করেছে। যদিও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো খাতভিত্তিক সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন