প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, একজন সংসদ সদস্যকে জোরপূর্বক এলাকা ছাড়া করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও ঐকমত্য না থাকলে ইসির পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা কষ্টকর হবে। ইসির একার পক্ষে ভাল নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
গতকাল সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের সঙ্গে সংলাপ শেষে এ কথা বলেন তিনি। সকালে হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সংলাপ শুরু হয়। এতে যোগ দেন সাবেক সিইসি বিচারপতি মো. আব্দুর রউফ, ড. এ টি এম শামসুল হুদা ও কে এম নূরুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার, মাহবুব তালুকদার, মো. শাহনেওয়াজ, আবু হাফিজ, সাবেক সচিব মোহাম্মদ সাদিক, জেসমিন টুলি ও মো. আবদুল্লাহসহ কয়েকজন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আইনে বলা আছে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনী এলাকায় থেকে প্রত্যক্ষ ও পরেক্ষভাবে নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কিন্তু কুমিল্লার মাননীয় সংসদ সদস্য তেমনটি করেছিলেন বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এজন্য আমরা ওনাকে চিঠি দিয়েছি। আমরা ওনাকে স্থান ত্যাগ করতে বলেছি। তবে উনি এখনো স্থান ত্যাগ করেননি। এক্ষেত্রে একজন মাননীয় সংসদ সদস্যকে এলাকা ছাড়া করতে জোর করার ক্ষমতা তো ইসির নেই। আমরা ওনাকে বলতে পারি আইনে এটা আছে, আপনি এলাকা থেকে সরে থাকেন। তাহলে নির্বাচনটা ভালো হয়। একজন সংসদ সদস্য যদি সেটাকে সম্মান না দেখান, তাহলে আমাদের কিছু করার থাকে না। ওনাকে চিঠি দিয়ে বলাটাই পর্যাপ্ত।
এরা আগে গত বুধবার কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে তার নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের চার দিন পরও এলাকা ছাড়েননি সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আগামীতে আরও ভালো নির্বাচন করার চেষ্টা করবো। আমরা নানানভাবে চেষ্টা করবো সবগুলো নির্বাচন সফল করতে। সিইসি বলেন, অতিথিরা বলেছেন, বর্তমানে যে পদ্ধতি আছে, তাতে খুব বেশি ভাল করা সম্ভব নয়। এটা একটু কমবেশি কিছু হতে পারে। আমরা যদি দৃঢ় থাকি, আইন দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করি, তাহলে অনেকটা উন্নয়ন সম্ভব। বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত মার্চ মাস থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সংলাপ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ ও ২২ মার্চ এবং ৬ ও ১৮ এপ্রিল যথাক্রমে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজ এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক-সিনিয়র সাংবাদিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী-প্রধান বার্তা সম্পাদক-সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন