জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে আগের মতো রফতানিমুখী সব শিল্পের উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সভাপতি সালাম মুর্শেদী। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সুবিধা আগামী ৫ বছর পর্যন্ত অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশবান্ধব কারখানার অন্যতম উপাদান সোলার প্যানেল আমদানিতে বাজেটে প্রস্তাবিত শুল্কহার শতাংশ না বাড়িয়ে পূর্বের ন্যায় শূন্য করার দাবি করেন সালাম মুর্শেদী। তিনি ব্যাংক সুদের উৎসে করহার কোম্পানি করদাতার জন্য পূর্বের ন্যায় ১০ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করেন।
এছাড়া ভ্যাট খেলাপি হলে প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে মূসক কর্মকর্তাগণ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করার বিধান আইনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে যা বাস্তবায়িত হলে শিল্পে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে বলবে মন্তব্য করেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ধারাবাহিক তিন বছর বা ততোধিক সময়ব্যাপী কোনও কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ থাকলে পরিচালকদের নিকট হতে বকেয়া অবিতর্কিত কর আদায়ের বিধান রাখা এবং সরকারের অবিতর্কিত রাজস্ব দাবি পরিশোধে ব্যর্থ হলে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্যান্য সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিধান প্রবর্তন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। মাংস রফতানিতে ফ্রিজার ভ্যান এবং চিলার ভ্যান অপরিহার্য বিধায় এগুলোকে আমদানির ক্ষেত্রে মূলধনী পণ্য হিসাবে বিবেচনায় নিয়ে শুল্ক অব্যাহতি দিয়ে মাংস রফতানিতে বিশ্ববাজারে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য আবেদন করেন সালাম মুর্শেদী। সসেজ, পেপারনি, সালামি ইত্যাদি একটি সম্ভাবনাময় রফতানি খাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে উপকরণ হিসাবে বিভিন্ন ধরনের মসলা এবং প্যাকেজিং পণ্য আমদানি নির্ভর বিধায় উপরোক্ত উপকরণ আমদানিতে শুল্ক সুবিধা প্রদানের অনুরোধ জানাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন