নিরাপদ বাহন রেল এখন রূপ নিয়েছে জটিলতায়। তথ্য প্রযুক্তি সবকিছু সহজ করলেও আগের মতো জটিলই রয়ে যাচ্ছে রেল। দেশের রেল খাতে কথিত উন্নয়ন বলা হলেও কোন সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ যাত্রীরা। নিয়মিত যাত্রীদের অভিযোগ এক বিন্দুও কমেনি বরং বেড়েছে বহুগুণ। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি এখন সিন্ডিকেটের কবলে। দালাল ছাড়া টিকেট মেলে না। কমলাপুর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের রেল স্টেশনগুলোতে একই চিত্র। টিকেট সংকট। অতিরিক্ত টাকা দিলে মিলে যায় টিকেট। রেলের মতো দেশের একটি বড় পরিবহন খাতের নেই নিজস্ব টিকেটিং সিন্টেম। টিকিট বিক্রি ও তত্ত্বাবধানের জন্য নির্ভর করতে হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর। বৃহত এই সরকারি প্রতিষ্ঠানকে টিকিটিং ব্যবস্থাপনার জন্য চেয়ে থাকতে হয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দিকে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ কমলপুরে লাইনে দাঁড়ালে জানিয়ে দেয়া হয় টিকেট নেই। অথচ বাড়তি টাকা দিলে পাশ থেকে দালাল এসে কাউন্টার থেকে টিকেট দিয়ে দেন। সরেজমিন ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
রেলমন্ত্রী ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে ট্রেন চলাচল করবে। এছাড়া চলতি জুন মাস থেকে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটের মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন যাতায়াত শুরু করেছে। কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ডাবল লাইন ছিল সেটি এখন থার্ড লাইন করা হচ্ছে। টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ছিল সেটি ডাবল লাইন করা হচ্ছে। জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল ডাবল লাইন করার কাজ হাতে রয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালাচল করতে পারব।
ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রির চেষ্টা চলছে। কিন্তু এতে করে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে। এমনিতেই দালাল ছাড়া টিকেট মেলে না; আর শতভাগ টিকিট অনলাইনে গেলে যাত্রীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হবে বাড়তি খরচের খড়গ। যদিও কাউন্টার বাদ দিয়ে সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি বাস্তবসম্মত নয় বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন হলো, মোবাইল ফোনে ১০০ ভাগে উন্নীত করা কখনই বাস্তবসম্মত নয়। টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে উভয় ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। অভিযোগ উঠছে, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের পরও মূলত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকভাবে লাভবান করতে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি পঞ্চগড়ে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস উদ্বোধনকালে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, কালোবাজারি বন্ধে ট্রেনের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। ঘরে বসেই কিনতে পারবেন যাত্রীরা। এনআইডি দিয়ে টিকিট কিনতে হবে। টিকিট যার নামে, তিনিই কেবল ভ্রমণ করতে পারবেন। এতে কালোবাজারি এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে। এর আগে ভেন্ডর সহজ লিমিটেডের পক্ষ থেকে রেল মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অনলাইনে শতভাগ টিকিট বিক্রির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকও হয় একাধিকবার। উদ্দেশ্য টিকিট বিক্রিতে লাভের অঙ্ক বাড়ানো।
জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় যৌথভাবে সহজ-সিনোসিস-ভিনসেন। ২৫ মার্চ সন্ধ্যার পর থেকে নতুন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। ২১ মার্চ সহজের কার্যক্রম শুরু হলেও প্রযুক্তিগত ও আনুষঙ্গিক কাজের জন্য বিশেষ বিবেচনায় জরিমানা মওকুফ করে ২১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত রেলওয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় টিকিট বিক্রি করা হয়। বর্তমানে সহজের মাধ্যমে কাউন্টার ও ওয়েবসাইটে টিকিট বিক্রি চললেও মোবাইল অ্যাপস কার্যকর হয়নি। গত ঈদে প্রথমবারের মতো অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করেছে দীর্ঘদিন ধরে বাস ও লঞ্চের টিকিট বিক্রির অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভির লিড পার্টনার সহজ লিমিটেড। তবে টিকিট বিক্রির শুরুতেই সার্ভার ডাউনসহ নানা জটিলতায় পড়তে হয় সহজকে।
ট্রেনের টিকিট বিক্রি নিয়ে অনিয়ম ও ত্রুটির ঘটনা রয়েই গেছে। ট্রেনের যাত্রীরা কমলাপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে হট্টগোল করা ঘটনাও ঘটেছে। ট্রেনের এক্সটা-২ ও এক্সট্রা-৩ নামে দুটি অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করে টিকিট বিক্রি করে সহজ। অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি করে দুই বগির নামে। বাস্তবে এসব বগি সংযোজনের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ লিখিত ও মৌখিক কোনো অনুমতি দেয়নি। নির্ধারিত বগি না পেয়ে যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে ট্রেন ও স্টেশন ভাঙচুরের চেষ্টা চালায় বলে জানিয়েছেন স্টেশন ম্যানেজার। একই আসনে একাধিক টিকিট বিক্রিও হচ্ছে প্রায়ই। অগ্রিম টিকিট ইস্যুর ক্ষেত্রেও চুক্তিভঙ্গের ঘটনা ঘটছে।
রেলওয়েকে নিয়ে এখন এমন কথা শুনা যাচ্ছে নিজের সম্পদ বেহাত, হাজার কোটি টাকায় জমি কিনছে প্রতিষ্ঠানটি। পিপিপি প্রকল্প ইজারার নামে রেলের দামি জমি অন্যরা ভোগ করছে। সারা দেশে ১৩ হাজার একরের বেশি জমি ইজারায়। বেদখলে সাড়ে তিন হাজার একর। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ঢাকার কুড়িলে প্রায় দুই একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে রেলওয়ে। বর্তমানে বাজারে যার মূল্য শতকোটি টাকার বেশি। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে পাঁচতারা হোটেল ও শপিং মল নির্মাণ করবে। সারা দেশে এভাবে রেলের জমি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে নানা ব্যক্তি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের হাতে। অনদিকে এককের পর একর রেলের জমি অবৈধভাবে দখল করে ভোগ করছে প্রভাবশালীরা। সব নিয়ন্ত্রণই যেন সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে আটকে রয়েছে।
একদিকে রেল নিজস্ব জমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দিচ্ছে, অবৈধ দখলে থাকা জমিও উদ্ধার করতে পারছে না। আর গোলমাল এখনো কাটেনি ট্রেনের টিকিট নিয়ে। একজনের নামের টিকিট অন্যজনের, এক জায়গার স্থলে অন্য জায়গা। এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার বাধ্যতামূলক হলেও যেকোন নাম্বার দিয়েই টিকিট কালবাজারীসহ নানা কারণে এখনো ট্রেনের টিকিট ব্যবস্থাপনায় সঙ্কট কাটেনি। একই আসনে একাধিক টিকিট বিক্রি, চাহিদা সত্ত্বেও আসন খালি রাখাসহ নানা ঘটনায় লোকসান গুনছে রেল।
সাধারণ যাত্রীরা বহু কষ্টেও টিকিট কাটতে না পারলেও কালবাজারিরা ঠিকই মুহূর্তের মধ্যেই টিকিট কেটে নেয়। এতে টিকিট বঞ্চিত হন সাধারণ যাত্রীরা। এমনকি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্রাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম উন জং সহ বিশ্বের নামিদামি লোকের নামেও টিকিট কাটা যায়। কিন্তু প্রয়োজনের সময় যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে যেতে কাক্সিক্ষত টিকিটটি পান না। ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে এই কেলেঙ্কারি-অনিয়ম ও কারিগরি ত্রুটির কারণে বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ট্রেনে অতিরিক্ত দুটি বগির কথা বলে টিকিট বিক্রি করায় সিট না পাওয়া ক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশনে ভাঙচুরের চেষ্টা চালানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে, দেড়শ’ বছরের পুরোনো রেলওয়ে রানিং স্টাফদের মাইলেজ পদ্ধতি নিয়ে জটিলতা। এছাড়া গেটকিপারদের আন্দোলনের পরও দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।এ সংস্থাটির বিভিন্ন ভাতা ভিন্নতর হওয়ায় জটিলতার মুখে পড়েছে রেলওয়ে। এক বছর ধরে তারা বিভিন্ন দফতরে ঘুরেও কোন কুলকিনারা না পেয়ে অবশেষে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রানিং স্টাফরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঈদের ছুটি, পূজার ছুটি, রাষ্ট্রীয় অসহযোগের সময় রেলওয়ে লোকো মাস্টারকে ট্রেন নিয়ে ছুটতে হয়। তাদের কোনও ছুটি নেই।
সমস্ত মানবসৃষ্ট আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে তাদের ট্রেন নিয়ে ছুটতে হয়। বছরে ৩৬৫ দিন তাদের ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে জয়। সেই বিবেচনায় বৃটিশ আমল থেকেই ট্রেনের লোকোমাস্টাররা মাইলেজ পান। গত ঈদের আগে রেলওয়ে রানিং স্টাফদের মাইলেজ পদ্ধতি নিয়ে জটিলতা নিরসনের আশ্বাস দেয়া হলে তারা আন্দোলন স্তগিত করেন। এছাড়াও রেলওয়ের অনেক কর্মীরা তাদের চাকরি স্থায়ী নিয়োগের বিষয়ে আন্দোলন করেও তারা কোন সুফল পান নি।
রেলসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার দুর্ভোগ পুরনো। নতুন অপারেটর নিয়োগের পরও যাত্রীদের ভোগান্তি যায়নি। অপারেটর অতীতের মতোই দাবি করে আসছে, অতিরিক্ত যাত্রী হিট করে, সার্ভার দুর্বল, সার্ভার হ্যাক হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে সব টিকিট অনলাইনে চালু করলে অনেক মানুষ ট্রেনের চড়ার সুযোগ হারাবেন। কালোবাজার বা সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে অবশ্য কেউ কেউ পেতে পারেন। ইন্টারনেটসহ স্মার্ট ফোন, কম্পিউটারসংবলিত তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা সবার নেই। সব টিকিট অনলাইনে গেলে এদের অনেকেই ট্রেনে ভ্রমণের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। অথচ দেশের নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে সব শ্রেণির মানুষই ট্রেনে চড়েন। সকাল ৮টায় নির্দিষ্ট সময়ে অনলাইনে ঢুকে টিকিট কেনা অনেক কঠিন এটা গত ঈদে সাধারণ যাত্রীদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
অনলাইনে একই সময়ে টিকিট বিক্রির কারণে দুর্ভোগ যেমন তৈরি হয়, কালোবাজারির সুযোগও থাকে। গত ঈদে সহজ লিমিটেডের একজন প্রকৌশলী ধরা পড়েন টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে। তিনি টিকিট কালোবাজারির কথা স্বীকারও করেছেন। বর্তমানে টিকিট প্রতি ২৫ পয়সা দিতে হয় ভেন্ডর সহজ লিমিটেডকে। অনলাইনে টিকিট বিক্রি করলে ওই অপারেটর প্রতি টিকিটে ২৫ পয়সার সঙ্গে বাড়তি ১৫ টাকা ৯০ পয়সা পাবে। এতে করে রেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হবে। ফলে চুক্তির মেয়াদে অন্তত ৩২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত পাবে প্রতিষ্ঠানটি।
অপারেটরের ইচ্ছাপূরণেই এমন সুযোগ দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে কাউন্টারে ৫০ ভাগ ও অনলাইনে ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি হয়। কাউন্টার থেকে টিকিট কিনলে যাত্রীর কাছ থেকে কোনো অতিরিক্ত চার্জ নেয়া হয় না। কিন্তু অনলাইনে টিকিট কিনলে গুনতে হয় অতিরিক্ত ২০ টাকা। একই সঙ্গে চারটি টিকিট কিনলে বাড়তি ৮০ টাকা কেটে নেয়া হয়। এ অবস্থায় সব টিকিট অনলাইনে গেলে টিকিট নিয়ে কালোবাজারি বেড়ে যাবে। বিপুল মুনাফা হবে অপারেটরের। কারণ অতিরিক্ত ২০ টাকা চার্জের মধ্যে মাত্র ৪ টাকা ১০ পয়সা সরকার পায়। বাকি ১৫ টাকা ৯০ পয়সা নেয় ভেন্ডর। এর মধ্যে পেমেন্ট গেটওয়ে বাবদ কিছু টাকা দিয়ে ন্যূনতম ৬ টাকা ৫০ পয়সা থাকে অপারেটরের পকেটে। আর ২৫ পয়সা পাচ্ছে কাউন্টারের টিকিট বিক্রির মাধ্যমে।
সহজ ডট কমের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহাত আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, সামনের কোরবানি ঈদে টিকেটের চাহিদা আরও বাড়বে। এবং এটার জন্য আমরা এখনই কাজ শুরু করে দিয়েছি। যেখানে যতটুকু ব্যবস্থা নেয়ার, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কলোবাজারি বন্ধের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার কথা রেলওয়েকে। আমরা রেলওয়ের টিকিট বিক্রি করে আসছি। অনলাইনে ও কাউন্টারের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করছে সহজ। আশা করছি আগামী ১ জুলাই থেকে ঈদের আগাম টিকিট বিক্রির সম্ভাব্য দিন হতে পারে। আর এরই মধ্যে আশা করি মোবাইল অ্যাপ চালু হয়ে যাবে। এতে করে সাধারণ যাত্রীরা সহজেই ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন। শতভাগ অনলাইনে টিকিট বিক্রি ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো কোন আপডেট আমাদের কাছে আসেনি। যদি কোন আপডেট পাওয়া যায় তাহলে জানানো হবে।
ইতোমধ্যে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, টিকিট কালোবাজারি সংক্রান্ত অভিযোগ মন্ত্রী হবার পর থেকেই শুনছি। অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মেনে নিচ্ছি। এ থেকে রেল মুক্ত হতে পারেনি। এজন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ২০০৭ সাল থেকে আমাদের টিকিটের বিষয়ে যারা সার্ভিস দিচ্ছিল সিএনএস-বিডি তাদের পরিবর্তে সহজডটকমকে দায়িত্ব দিয়েছি। অপেক্ষা করতে চাই, দেখি তার সার্ভিসটা কতটুকু পাই। তবে এগুলো সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি কথা বলছি। ভবিষ্যতে এধরনের সমস্যা থাকবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন