চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সময় কার্নেট পি প্যাসেজ সুবিধায় আনা ১০৮টি গাড়ির চূড়ান্ত নিলামে ৫৬৭টি দরপত্র জমা পড়েছে। বিএমডব্লিউ, মার্সেডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগোয়ার, লেক্সাস, মিতসুবিশি ব্রান্ডের এসব গাড়ি নিলামে বিক্রি করা হবে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার আল আমিন বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি পর্যটকেরা বিশেষ সুবিধায় এসব গাড়ি এনেছিলেন। নানা কারণে এসব গাড়ি বন্দর থেকে খালাসও নেননি, ফেরতও নিয়ে যাননি।
তাই বিধি ও আইন অনুযায়ী নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আমদানি নীতি অনুযায়ী বয়স বেশি হওয়ায় এসব গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ। বিষয়টি কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ এনবিআরকে জানানোর পর এনবিআর চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গাড়িগুলো নিলামের ছাড়পত্র দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি গাড়ির ক্যাটালগ তৈরিতে সহায়তা করেছেন। গত নিলামে ৩টি গাড়ি বিক্রি হয়েছে। ম্যানুয়েল ও ই-অকশন দুই পদ্ধতিতে ১০৮টি গাড়ি নিলাম হচ্ছে। পাঁচ দিন সময় ছিল বন্দরে গাড়ি দেখার। নিলামের ক্যাটালগ প্রকাশ করা হয় ২৯ মে, দরপত্র জমা ১২-১৩ জুন, পে অর্ডারের হার্ডকপি জমা ১৬ জুন। ১৯ জুন দরপত্র বাক্স খোলা হয়। দুই-তিন দিনের মধ্যে দরপত্রগুলো যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হবে। বিলাসবহুল হলেও দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পড়ে থাকায় এসব গাড়ি প্রায় বিকল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন