কেরানীগঞ্জে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণে ভূমি মালিকদের মাঝে চেক বিতরন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঘাটারচর এলাকায় প্রস্তাবিত ইসলামি আরবি বিশ্বদ্যিালয় ক্যাম্পাসে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যায়ের ভাইস-চান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ। ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চেন্সলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, প্রকল্প পরিচালক যুগ্মসচিব রফিক আহম্মদ সিদ্দিক, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. রেজাউল হক, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান।
স্থায়ী এই ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ঘাটারচর ও মধ্যেরচর মৌজায় ১৭.০৮৯৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এই অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য এসেছে ২৯৭ কোটি টাকা। আজকে জমির মালিকদের মধ্যে ২৭টি চেক বিতরণ করা হয়েছে। বাকী চেকগুলো পর্যায়ক্রমে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জমির মালিকদের কাছে বিতরণ করা হবে।
চেক বিতরণের মাধ্যমে জমির মালিকানা ও দখলস্বত্ব ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দেন ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম। ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রেসিডেন্ট সম্মতি লাভের পর এই ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ আইন পাশ করা হয়। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭.০৮৯৪ একর জমির মধ্যে ৩.০০ একর জমি সউদী সরকারেরর অনুদানে আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট এর জন্য বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশরী অধিদফতর এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রকলপ্লের পূর্ত কাজ বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করবে।
অনুষ্ঠানে ভাইস-চেন্সেলর প্রফসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্রাহ বলেন, চেক বিতরণ ও জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাদরাসার উচ্চ শিক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ ও বাস্তবায়নে দেশের আলেম ওলামা পীর মাশায়েক ও ১৫০০ ফাজিল-কামিল, অনার্স-মাস্টার্স মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বহুল প্রত্যাশিত স্বপ্ন পুরন হতে যাচ্ছে। ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যায়কে জমি বুঝিয়ে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। ইসলামি আরবি বিশ্বদ্যিালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের মাধ্যমে মাদরাসা শিক্ষায় আরো অধিক গতি সঞ্চার হবে বলে আমি আশা করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন