ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, এডিস মশার নিয়ন্ত্রণ ও ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধে সম্মিলিতভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে, তাদেরকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। ডিএসসিসিকে সহযোগিতা করতে হবে। আমরা প্রস্তুত সকল উপাদান নিয়ে, সকল অস্ত্র নিয়ে, সকল সরঞ্জাম নিয়ে, জনগণ নিয়ে এবং সবচেয়ে বড় কথা নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধ নিয়েও আমরা প্রস্তুত।

গতকাল বুধবার ডিআরইউ’র নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোটার্স এ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত ‘ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, যেকোন সময়ের চেয়ে সবচেয়ে ভালো এবং সুষ্ঠুভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। কিন্তু সকলের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা, সচেতনতা এবং সম্মিলিত সহায়তা না পেলে এই কার্যμম আসলেই অনেক দুরূহ হয়ে যাবে। আমরা কোন ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে যেতে চাই না। কারণ আমরা জানি আমরা দৃঢ়তার সাথে, নিষ্ঠার সাথে কাজ করে চলেছি এবং কাজ করে যেতে চাই। সুতরাং আমাদের আবেদন, আপনারা নিজ দায়িত্বে এডিস মশার উৎসস্থলগুলো ধ্বংস করুন। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন। তাহলে সকলে মিলে আমরা ডেঙ্গু রোগ এবং এডিস মশাকে প্রতিরোধ করতে পারব।
রাত ৮টার পর দোকানপাট, বিপনি-বিতানসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক কার্যμম বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের এই মুহূর্তে ঢাকা শহরের একিউআই ২০। মানে ঢাকার পরিবেশ এখন চমৎকার। কারণ, আমরা ঢাকা শহরকে বিশ্রাম দেয়া আরম্ভ করেছি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ইনস্টিটিউট ফর প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, বিশ্বে যত মহামারি সৃষ্টি হয়েছে সেসব মহামারির অন্যতম কারণ হলো নগরায়ন। একইভাবে ডেঙ্গু রোগের মূল কারণও নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন।
সংলাপ আয়োজনে কীটতত্ত্ববিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, কীটনাশক দিয়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। উৎস নিধনই এডিস মশক নিয়ন্ত্রণের সর্বোত্তম ও কার্যকর পদ্ধতি। সেটা আমাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।
ডুরা’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জয়শ্রী ভাদুড়ীর সঞ্চালনায় এবং সভাপতি মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) মো. নাজমুল ইসলাম ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বক্তব্য রাখেন।
এদিকে, সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শনে বেরিয়ে গতকাল মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মেরাদিয়া বাজার সংলগড়ব এলাকায় মেরাদিয়া-আফতাব নগর সংযোগ সেতুর সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন। মেরাদিয়া জে ব্লকের বাঁশপট্টি সংলগড়ব আঙ্গর জোড়া এলাকায় দেখেন রামপুরা খালের উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে স্থাপনার নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।