স্বপ্ন ছুঁয়েছে পদ্মার বুক চিরে দাঁড়ানো সেতু। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের দীর্ঘতম এই সেতুর উদ্বোধন উৎসব ছড়িয়েছে রাজধানীসহ সারাদেশে। উৎসবকে ঘিরে তাই বর্ণিল সাজে সেজেছে রাজধানীর হাতিরঝিল লেক। সেই সঙ্গে ছিল সন্ধ্যায় ঝিলের এম্ফি থিয়েটারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লেজার শো ও আতশবাজির মহড়া। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সেতু বিভাগের আয়োজনে রং-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ডের পশাপাশি ছিল পদ্মা সেতু নিয়ে নানা লেখা। পাশাপাশি পুরো হাতিরঝিল ছেয়ে গেছে এলইডির উজ্জ্বল আলোয়। বর্ণিল এমন সব আয়োজনে নতুন রূপ পেয়েছে রাজধানীর অন্যতম এই বিনোদন কেন্দ্রটি। গতকাল শনিবার হাতিরঝিলের মধুবাগ, মেরুল, এফডিসি অংশ ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এ সময় হাতিরঝিলের নতুন রূপ দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ঘুরতে আসা মানুষেরা।
নতুনবাজার থেকে পরিবারসহ ঘুরতে এসেছিলেন মেহজাবিন-রবিন দম্পতি। মেহজাবিন বলেন, ঢাকায় খুব একটা বের হওয়ার সুযোগ হয়ে উঠে না। আজ এসে ভীষণ ভালো লেগেছে। ওয়াটার ট্যাক্সিতে চড়েছি। হাতিরঝিল সবসময় সুন্দর। তবে বাড়তি সাজে চমৎকার লাগছে। রাজিবুল নামে আরেকজন বলেন, সেতুর উদ্বোধন ঘিরে হাতিরঝিলকে সাজানো হবে-সেটা আগেই জেনেছি। কীভাবে হাতিরঝিলকে সাজানো হয়েছে, সেটা দেখার জন্য এসেছি। এখনকার নতুন রূপ দেখে অনেক ভালো লাগছে।
হঠাৎ এমন বর্ণিল সাজ দেখে হাতিরঝিলে বেড়েছে হকারদের উপস্থিতিও। এক বেলুন বিক্রেতা বলেন, টিভিতে দেখাচ্ছে হাতিরঝিল। অনেকেই ঘুরতে এসেছেন। একটু বেশি বিক্রির আশায় এসেছি।
উল্লেখ্য, গতকাল বেলা পৌঁনে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোল দেওয়ার মাধ্যমে সেতুতে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দুপুর ১২টার দিকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সেতুর উদ্বোধন করেন তিনি। এর মাধ্যমে দৃঢ় সংকল্প, আত্মবিশ্বাস ও স্বপ্ন পূরণে বহু বাধা পেরোনোর নতুন এক গল্প লিখল বাংলাদেশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন