বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চসিকের ২ হাজার ১৬১ কোটি টাকার বাজেট

আগামী বছর পানিবদ্ধতা কমবে : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য দুই হাজার ১৬১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। গতকাল রোববার নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই বাজেট ঘোষণা করেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। মেয়র হিসেবে এটি তার দ্বিতীয় বাজেট। এদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরের দুই হাজার ৪৬৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা মূল বাজেট হলেও সংশোধিত বাজেটে তা দাঁড়ায় এক হাজার ২০২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। মেয়র সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করেন।

আসছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে নিজস্ব উৎসে আয় ধরা হয়েছে ৯০৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উন্নয়ন অনুদান খাতে সরকার থেকে সম্ভাব্য আয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২১২ কোটি টাকা। অন্যান্য উৎস খাতে ৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে। বাজেটে বেতন ভাতাসহ মোট পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবত ৫৬৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা ধরা হলেও পানিবদ্ধতা নিরসনে আলাদা কোন বরাদ্দের কথা উল্লেখ করা হয়নি। অথচ বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতেই খোদ মেয়রের বাড়িসহ নগরীর বিশাল এলাকা পানিতে তলিয়ে ছিল দিনের পর দিন।
এ প্রসঙ্গে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পানিবদ্ধতা নিরসনে নগরীর প্রধান ৩৬টি খালে পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প সিডিএ কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। যার বাস্তবায়নের দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিটি কর্পোরেশন সরকারের প্রকল্প সহায়তায় পানিবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হলে আগামী বছর পানিবদ্ধতা নিরসনে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে। এছাড়া নগরীর অবশিষ্ট ২১টি খালের উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধারের বিষয়ে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির জন্য কনসালট্যান্ট নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিদ্যমান নালা সংস্কার ছাড়া পানিবদ্ধতা নিরসনে সিটি কর্পোরেশনের হাতে আর কোন দায়িত্ব নেই।
আগের অর্থ বছরের তুলনায় এবার বাজেটের আকার কম কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের হার যাতে বাড়ে সে জন্য বাস্তবভিত্তিক বাজেট তৈরী করা হয়েছে। তাতে আকার কিছুটা কমেছে। বাজেট বক্তৃতায় মেয়র বলেন, নগরবাসীর আশা-আকাঙ্খা প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যাশা এবং মহানগরীকে পরিবেশগত, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ, নান্দনিক ও বাসযোগ্য নগর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই বাজেট। জনগণের প্রত্যাশিত সেবা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করার জন্য নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, নগরবাসীকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিতে অনেক সেবা সংস্থা রয়েছে। তার মধ্যে সিটি কর্পোরেশন সবচেয়ে বড় এবং নগরীর অভিভাবক প্রতিষ্ঠান। আমি বিশ্বাস করি, সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করতে হবে। সমস্যা আছে এবং থাকবেই। মেধা, দক্ষতা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে সমাধানের পথ আমাদের খুঁজতে হবে। নগরবাসী আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আমাদের নির্বাচিত করেছেন। তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিদান দিতে হবে।
মহানগরীর উন্নয়নে বিগত এক বছরে অনেকগুলো নতুন প্রকল্প গ্রহণপূর্বক বাস্তবায়ন করে কাজ শুরু করেছি। আয় বর্ধক বেশ কিছু প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ এ অধিবেশনে কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে নতুন এ বাজেট পাস করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন