শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিএনপি পদ্মা সেতুর বিরোধিতা স্বীকার করে নিয়েছে

সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রতিবেশি দেশ ভারত ও পাকিস্তান অভিনন্দন জানালেও দুঃখজনক সত্য যে, বিএনপি অভিনন্দন জানাতে পারেনি।

গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণটি অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সারাদেশ এবং পৃথিবীর সব মানুষের কাছে উপস্থাপনের জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিশ্বের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ফলাওভাবে প্রচার হয়েছে। জাতির সক্ষমতার ও গর্বের প্রতীক হিসেবে পদ্মা সেতুকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই গর্ব আমাদের সবার। সাংবাদিক বন্ধুরা প্রতিটি টেলিভিশন এবং পত্রিকায় জুন মাসের শুরু থেকেই ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেছেন। এতে জাতির আবেগ-উচ্ছ্বাস গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। এ জন্য তিনি সমস্ত গণমাধ্যমকর্মীকে ধন্যবাদ।

জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী হাছান বলেন, জাতিসংঘের আশিজন র‌্যাপোর্টিয়ারের মধ্যে একজন আইরিন খান। তিনি আগে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিবৃতি দিয়েছিলেন। দেশে বিএনপি-জামাতের পেট্রোলবোমায় মানুষ হত্যার সময় নিশ্চুপ ছিলেন। ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করার সময় বিবৃতি দেননি। তিনি একচোখা নীতি নিয়ে কি বললেন সেটি গুরুত্বহীন।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এবং অনেক সাংবাদিকও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আশ্রয় নিয়ে মামলা করেছেন এবং ফল পেয়েছেন। দেখতে হবে যাতে এই আইনের কোনো অপপ্রয়োগ না হয়। শুধু সাংবাদিক নয়, কেউই যেন অহেতুক নিগৃহীত বা হয়রানি না হয় সেটি নিশ্চিত করা অবশ্যই প্রয়োজন। সেটির সাথে আমি শতভাগ একমত। কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ ধরণের কোনো ঘটনা আমার নজরে এলে আমি নিজে থেকে প্রোঅ্যাকটিভলি সমাধান করার চেষ্টা করি। এখন আর আগের মতো কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা করা যায় না, সেজন্য অনুমতিরও প্রয়োজন হয়।

এর পরপরই তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ২৩তম সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে সাংবাদিকদের কল্যাণার্থে সাধারণ খাতে ৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা ছিলো। ইতোমধ্যে ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বিতরণ হয়েছে। বাকি অর্থ বিতরণে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। এর বাইরে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত করোনাকালীন বিশেষ সহায়তার ১০ কোটি টাকার তহবিলের প্রায় ৬ কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে। আর ৪ কোটি টাকার সিংহভাগ আগামী কোরবানী ঈদের আগেই বিতরণ করার প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন এবং সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বাসস চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ কলিম সারোয়ার, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন