শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

আশুলিয়ায় অটোরিকশা-ভ্যান চালকদের মহাসড়ক অবরোধ

পুলিশের চাঁদাবাজি

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে অটোরিকশা ও ভ্যান চালকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। ভাঙচুর করেছে কয়েকটি যানবাহন। পুলিশের সাথে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার নবীনগর-বাইপাইল সড়কের আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ চলাকালে মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক হয়রানি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মহাসড়কে অটোরিকশা ও ভ্যানচালকেরা বিক্ষোভ নিয়ে পলাশবাড়ী এলাকায় জড় হতে থাকে। পরে প্রায় ২০০ অটোরিকশা ও ভ্যান চালকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ ও পলাশবাড়ী এলাকার মাঝামাঝি স্থানে সড়ক অবরোধ করে দেয়। এ সময় আশুলিয়া থানা পুলিশ এসে অবরোধে বাধা দিলে অটোরিকশা ও ভ্যান চালকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ তাদের প্রতিহত করতে গেলে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পুলিশসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে আহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অটোরিকশা চালক মো. জিল্লুর রহমান, কবির হোসেন, সোলেমানসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, আমরা গরিব মানুষ। হাইওয়ে পুলিশ আমাদের রিকশা ধরে টাকা নেয়। সপ্তাহে কোন কোন রিকশা ৩/৪দিন ধরে আটকে রাখে। আমরা কি করে খাব। রেকার বিলের দোহায় দিয়ে রিকশা ধরে নিয়ে যায় হাইওয়ে থানায়। ৩ থেকে ৫ হাজার ২০০ টাকা বিল করে। পুরো টাকা দিলে সিøপ দেয় আর টাকা কিছু কম দিলে সিøপ ছাড়াই রিকশা দেয়। মাঝেমধ্যে টাকা দিতে না পারলে রিকশা আর ফেরত পাই না। থানাতেও সেই রিকশা দেখা যায় না। তাদেরই দালাল মারফত রিকশা বাইরে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আমরা অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, অটোরিকশা চালকরা কারো মাধ্যমে সংগঠিত হয়ে রাস্তায় নেমেছেন। আমাদের টিম কাজ করছে। এটি চাঁদাবাজির বিষয় না। মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে জরিমানা করা হয়। সেই জরিমানার সিøপ তাদের দেওয়া হয়। তাছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার জরিমানা পরিশোধ করে রিকসা নিতে হয়। এটা আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত।
তবে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান জানান, রিকশা চালকদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তারা আমাদের কাছে আসবে, অভিযোগ দিবে আমরা ব্যবস্থা নিবো। গতকালের ঘটনায় আমাদের একজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে। পরে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন