বয়স ১৮ হওয়া সত্ত্বেও যারা এখনো ভোটার হতে পারেননি তাদের ভোটার হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এবার তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন না। কেউ ভোটার হতে চাইলে তাকে সংশ্লিষ্ট থানা/উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে ভোটার হতে হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদে তথ্য সংগ্রহের কাজ আজ শুক্রবার শুরু হয়ে চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম স্বাক্ষরিত চিঠি গত মাঠ পর্যায়ে সকল উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, বয়স ১৮ হওয়া সত্ত্বেও যারা এখনো ভোটার হতে পারেননি এবং বাদ পড়াদের ভোটার হওয়ার সুযোগ দিতেই ২৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের এ সুযোগ দেয়া হচ্ছে। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারিতে যারা ভোটারযোগ্য হবেন তাদের জন্য এ সুযোগ।
সচিব বলেন, কমিশন মনে করছে গেল বছরে নিবন্ধনের জন্য তথ্য সংগ্রহের সময় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিক সাড়া দেয়নি। তাই এবার তাদের তালিকাভুক্ত করা হবে। আর কেউ নিবন্ধন করতে চাইলে তাকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসতে হবে। ২ জানুয়ারি খসড়া প্রকাশের সময় তাদের নামও থাকবে ভোটার তালিকায়।
সচিব আরো জানান, আগামী বছরের যেকোনো সময়ে নতুন করে আবারও ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। গত বছর মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভোটারযোগ্যদের পাশাপাশি কম বয়সীদেরও (১৫-১৭ বছর) তথ্য নেয় ইসি। এ সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহকারীরা ফরম পূরণ করে নেন। এখন আর সেটা হচ্ছে না। এই হালনাগাদে যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৯ বা তার পূর্বে অথচ ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০১৫-২০১৬ কার্যক্রমে নিবন্ধন করা হয়নি তাদের নিবন্ধিত করে আগামী ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগমের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটররা সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা ইউনিয়ন বা পৌরসভা সচিবের দপ্তর থেকে ভোটার নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ করবেন। তার সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন সনদ, এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার সনদসহ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অন্যান্য কাগজপত্র উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়ে ভোটার নিবন্ধন করতে হবে। নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, এ সময় কেউ ভোটার এলাকা পরিবর্তন (এক স্থান থেকে অন্য স্থানে) করতে চাইলেও নির্ধারিত ফরম পূরণ করে তা করতে পারবেন। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রথম ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ শুরু হয়। সে সময় ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি নাগরিককে তালিকাভুক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্রও দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ২০১০, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ কোটি ৩ লাখ ২০ হাজার ৩৬২ জন এবং নারী ভোটার ৪ কোটি ৯৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৯১ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন