পদ্মা সেতুতে স্পিডগান ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পর মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফেরি আছে, চাহিদা অনুযায়ী চলবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সকল দপ্তর-সংস্থার সাথে ২০২২-২৩ সালের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই ও ২০২১-২২ সালের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা যে অনির্দিষ্টকালের সিদ্ধান্ত তা নয়। এটা এখন বন্ধ আছে, মোটরবাইক সম্পর্কে যেটা বলা হয়েছে সেখানে এখন স্পিডগান, সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। সেগুলো স্থাপনের পর হয়তো নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফেরি চলাচলের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ স্থাপনা পদ্মা সেতু। তার মানে এই নয় যে, আমাদের অন্যান্য যোগাযোগ বন্ধ হবে। গতকালও আমাদের শিমুলিয়া, মাঝিঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল করেছে। আমাদের যেভাবে চাহিদা থাকবে সেভাবে ব্যবহার করব। আমরা ফেরি বন্ধ করে দেইনি, সেখানে ছয়টি ফেরি চাহিদা অনুযায়ী পারাপার করছে। আমরা সময় নিচ্ছি, পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের আবেগ অনেকভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। পজিটিভ-নেগেটিভ অনেক অনুভূতি রয়েছে। যাত্রী কম থাকায় লঞ্চ মালিকদের হতাশা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিন দিনেই হতাশা এলে হবে না। আমরা তো আশাবাদী। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ কেন তৈরি করছি? এটার চাহিদা আছে বলেই করছি। সে জন্য আমাদের শত শত কোটি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। আমরা তো লক্ষ্য নিয়েই আছি। অপরিকল্পিত দেশ পরিচালনা করছি না।
প্রধানমন্ত্রী অপ্রয়োজনীয় কিছু করছেন না। আমি মনে করি, লঞ্চ যাত্রা সামনে আরও উপভোগ করবেন। পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলার সঙ্গে রাজনীতি দেখছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, আমরা দেখেছি একজন নেত্রী যিনি এতিমের টাকা আত্মসাতের জন্য কারাবরণ করছেন। তিনি নিজেই বলেছেন, পদ্মা সেতুতে কেউ যাবেন না, ভেঙ্গে পড়বে, এটার নাট-বল্টু জোড়াতালির। জোড়াতালির রাজনীতি তো সেরকমই। তার যারা ফলোয়ার আছে, তারা তো এটাকে সত্যই মনে করবেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে পদ্মা সেতু হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির নামে বাঙালি জাতির কপালে কলঙ্কের তিলক দিতে চেয়েছিল। কানাডার আদালতে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের নামে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। যা এখন বাস্তব। পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
গত শনিবার যান চলাচল শুরুর দিনই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল জট এবং দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়। এরপর পদ্মা সেতুতে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সেতু বিভাগ।
##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন