বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

রাবি শিক্ষককে লাঞ্ছিত শিক্ষার্থী বহিষ্কার

রাবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শিক্ষক হলেন, অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দিকা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী হলেন, একই বিভাগের মাস্টার্সের শির্ক্ষাথী আসিক উল্লাহ। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ক্লাস চলাকালীন অভিযুক্ত আশিক উল্লাহ তার মাস্টার্সের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই শিক্ষকের কাছে আসেন। তখন তিনি ওই শিক্ষার্থীকে বলেন এগুলো আমার বিষয় নয়, এগুলো বিভাগ চেয়ারম্যানের বিষয়। এটা বলে তিনি ক্লাস থেকে বের হতে চাইলে ক্লাসের দরজা বন্ধ করে দেন আশিক উল্লাহ। এতে ক্লাসের ভিতরে থাকা শিক্ষার্থীরা ক্ষেপে যান এবং শিক্ষককে বিভাগের চেয়ারম্যানের রুমে পৌঁছে দেন।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে বিভাগের সামনে অবস্থান নেন শির্ক্ষার্থীরা। পরে দুপুরে শির্ক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার্থে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটি ও সিন্ডিকেট রিপোর্ট সাপেক্ষে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, এর আগেও এই শিক্ষার্থী বিভাগের শিক্ষক-শির্ক্ষার্থীদেরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা রকম মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে বিভাগের ইমেজ নষ্ট করেছে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ নানা বিশৃঙ্খলা করে আসছে। যার কারণে বিভাগের একাডেমিক কমিটির মাধ্যমে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছিলাম। এর আগের তদন্তের রিপোর্ট এবং আজকের বিষয়টি আমলে নিয়ে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উল্লেখ্য, এর আগে অভিযুক্ত আসিক উল্লাহ তারই এক সহপাঠিকে অপহরণ করে মারধর করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নূরের বাসায় এক রাতে ঢুকে ফেসবুক লাইভে এসে তাকে নিয়ে অশোভন কথাবার্তা বলেন ওই শিক্ষার্থী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন