শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চাকরিচ্যুতদের পাওনা পরিশোধের তথ্য দাখিলের নির্দেশ

গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০২২, ১২:১১ এএম

চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা গ্রামীণ টেলিকম থেকে বকেয়া অর্থের মধ্যে কে কত টাকা পেয়েছে এ সংক্রান্ত তথ্য দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে অর্থ পরিশোদের নথিও দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আরম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। শ্রমিকদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী। শুনানিতে তিনি বলেন, গ্রামীণ করা এ পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম থেকে ৩৮০ কোটি টাকা পেয়েছেন। বাকি টাকা এখনও পরিশোধ করা হয়নি।
মামলা প্রত্যাহারের শর্তে গ্রামীণ টেলিকমের চাকরিচ্যুত ১৭৬ জন শ্রমিকের পাওনা বাবদ ৪৩৭ কোটি টাকায় সমঝোতা করেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে এ আবেদন দায়ের করা হয়।
অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী বলেন,গ্রামীণ টেলিকমের কাছে শ্রমিকদের পাওনা আড়াইশ কোটি টাকার বেশি। এই পাওনা টাকার দাবিতে কোম্পানিটির অবসায়ন চাওয়া হয়েছে।
এর আগে আদালত বলেছেন,আমরা শুনেছি শ্রমিকদের আইনজীবীকে অর্থের বিনিময়ে হাত করে তাদেরকে মামলায় আপস করতে বাধ্য করা হয়েছে। আদালতকে ব্যবহার করে অনিয়ম যেন না হয়ে থাকে। যদি সবকিছু আইন অনুযায়ী না হয় তবে বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখা হবে। আমি চাই না কোর্ট এবং আইনজীবীর সততা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠুক।
এ সময় আদালত বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ কেন,উপমহাদেশের এমন কোনো আইনজীবী জন্ম নেয়নি যার ফিস ১২ কোটি টাকা হবে। এ পর্যায়ে আদালত ডক্টর ইউনূসের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, আপনি কত টাকা ফিস নিয়েছেন? তখন আইনজীবী বলেন আমি ২০ লাখ টাকা নিয়েছি। আদালত বলেন, আপনি তো ২০ লাখ নিয়েছেন,কিন্তু চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের আইনজীবী কীভাবে ১২ কোটি টাকা নেন? এরপর আদালত শ্রমিকরা কে কত টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন তার তালিকা দাখিল করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত নথিও দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এসময় আইনজীবীরা আদালতকে জানান চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা এখন পর্যন্ত ৩৮০ কোটি টাকা পেয়েছেন। বাকি ৮ শ্রমিকের মধ্যে ৪ জন দেশের বাইরে থাকায় তাদের টাকা পরিশোধ করা হয়নি। আর ৪ জন শ্রমিক ইন্তেকাল করায় তাদের ওয়ারিশ জটিলতা নিরসন না হওয়ায় অর্থ পরিশোধ সম্ভব হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন