ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের টোল হিসাব করে পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলকারী বাসের ভাড়া আবারও পুননির্ধারণ করেছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সংস্থাটির পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ১৫টি রুটের ভাড়া পুননির্ধারণ করা হয়। এবার ৪০ ও ৫১ আসনবিশিষ্ট দুই ধরনের বাসের ভাড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত ৭ জুন রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৩টি রুটে চলাচল করা বাস ভাড়া চূড়ান্ত করেছিল বিআরটিএ। এরপর ২০ জুন হালনাগাদ দূরত্বের ভিত্তিতে ভাড়া পুননির্ধারণ করা হয়। ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে মাওয়া, ভাঙ্গা, মাদারীপুর হয়ে বরিশালের দূরত্ব ১৫৬ কিলোমিটার। ভাড়া ৪৫৪ টাকা। এর আগে সায়েদাবাদ থেকে বরিশালের ভাড়া যথাক্রমে ৪১২ ও ৪২১ টাকা ধরা হয়েছিল। এবার ভাড়া বেড়েছে টোল হিসাবের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনায়। এর আগের দুইবার বাসের শতভাগ আসন পূর্ণ ধরে টোলের টাকা ভাগ করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন হিসাবে বাসের মোট সিটের ৭০ শতাংশ ২৮ দিয়ে টোলের টাকা ভাগ করা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়েতে ৪০ আসন বিশিষ্ট একটি বাসের টোল ৪৯৫ টাকা। ২৮ আসন পূর্ণ ধরলে যাত্রী প্রতি টোলের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৬৭ পয়সা। এদিকে পদ্মা সেতুতে দুই হাজারসহ ঢাকা বরিশাল রুটে মোট টোল ২ হাজার ৬৯৫ টাকা। যাত্রী প্রতি টোল ৯৬ টাকা ২৫ পয়সা।
পুননির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা-গোপালগঞ্জের ভাড়া ৪২৩ টাকা। যা আগে ধরা হয়েছিল ৩৯২ টাকা। এছাড়া নতুন তালিকায় ঢাকা থেকে খুলনার ভাড়া ৫৩৭ থেকে ৫৭৫ টাকা হয়েছে। এর মধ্যে টোলই ১০০ টাকা। ঢাকা-শরীয়তপুরের ভাড়া ২২৬ থেকে বেড়ে ২৫৭ টাকা হয়েছে।
ঢাকা-পিরোজপুর ৫৮০, বাগেরহাট হয়ে ঢাকা-পিরোজপুর ৬১৯, ঢাকা-পটুয়াখালী ৫৬১, ঢাকা-মাদারীপুর ৩৪৪, ঢাকা-সাতক্ষীরা ৬৮৯, ঢাকা-ফরিদপুর ৩২৩, বাবুবাজার সেতু হয়ে শরীয়তপুর ২৫৭, ঢাকা-কুয়াকাটা ৭৬৭, কক্সবাজার থেকে বরিশাল ১ হাজার ৩৮৮, চট্টগ্রাম-খুলনা ১ হাজার ১৯২ এবং চট্টগ্রাম-বরগুনা ১ হাজার ২৮২ টাকা করা হয়েছে।
বিআরটিএর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ বাস ভাড়ার সঙ্গে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের ভাড়া সংযুক্ত করা হয়নি। এ ফ্লাইওভার ব্যবহারকারী ৫১ আসনের বাসে যাত্রীপ্রতি ৬ টাকা ৭২ পয়সা ও ৪০ আসনের বাসে যাত্রীপ্রতি ৯ টাকা ভাড়া দিতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন