বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জিডিপি বাড়লেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অংশীদারিত্ব কমেছে

রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আলোচনা সভায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

দেশে জিডিপি বাড়ছে, তবে সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অংশীদারিত্ব কমে যাচ্ছে। যারা জিডিপি বাড়াচ্ছেন, সেই শ্রমিকরাই এর বাইরে থেকে যাচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দ্রব্যমূল্য, শ্রমিকের জীবন ও মজুরি প্রশ্ন শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।

আনু মুহাম্মদ বলেন, যেহেতু আমাদের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নেই, সেহেতু এটা কমেই যাচ্ছে। এর ফলে সব থেকে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে কোনো কথা হচ্ছে না। শ্রমিকদেরও কোনো সংগঠন করতে দেওয়া হয় না। ফলে সাধারণ শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলেই তখন শিল্প পুলিশ দিয়ে ধরপাকড় করা হয়। কিন্তু এই শিল্প পুলিশদের কখনও মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। বলা যায়, মাস্তান বাহিনীর মতোই শিল্প পুলিশ কাজ করে মালিকদের পক্ষে।
শ্রমিকরা যে মজুরি পায় দ্রব্যমূল্য না বাড়লেও তাদের এ মজুরি যথার্থ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, এর প্রভাব হিসেবে পুষ্টিহীনতায় ভুগছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। আমাদের শ্রমিকদের আবাসন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, খাদ্যের বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে শিল্প ডাক্তার তৈরি করতে হবে।
সভায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণ সংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, জনস্বাস্থ্যবিদ তৌফিক জোয়ারদার, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মাহিন সুলতানা, অ্যাক্টিভিস্ট ফরিদা আক্তার, টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহমুদুর রহমান ইসমাইল প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার।
বক্তারা বলেন, বাজেটে শ্রমিকদের জন্য কোনো খাত হয়নি। বর্তমান বাজারে ৮ হাজার টাকা পাওয়া পোশাক শ্রমিকসহ শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শ্রমজীবী মানুষেরা এমনিতেই অর্থাভাবের কারণে শর্করা জাতীয় খাদ্য চাল, আলুর উপর নির্ভরশীল। এখন যাবতীয় নিত্য-পণ্যেও দাম বাড়ার কারণে শর্করা জাতীয় খাবারসহ সবরকম খাবারেই চাপ বেড়েছে।
এ সময় সভা থেকে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। এগুলো হলো- অবিলম্বে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য শ্রমিকের ক্রয়ক্ষমতায় আনা; মিরপুর-উত্তরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মজুরি আন্দোলনকারীদের হামলা, মামলা- গ্রেফতার বন্ধ করা; অবিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে নতুন মজুরি নির্ধারণ করার উদ্যোগ নেওয়া; শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজারের কম না করা এবং পোশাক শ্রমিকের জীবন-জীবিকার মান নিশ্চিতের দায় মালিক, সরকার ও বায়ার সব পক্ষকেই নেওয়া; নতুন মজুরি কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত মহার্ঘ্য ভাতা এবং শ্রমিকদের রেশনিং ও সামাজিক সুরক্ষার অধিকারের আওতায় আনা এবং জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা নির্ধারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন