জাতিসংঘের তদন্তকারীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সিরিয়ায় যুদ্ধ চলার কারণে লাখ লাখ মানুষ তীব্র দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হচ্ছে এবং প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। সিরিয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব ইনকোয়ারির সর্বসাম্প্রতিক প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে জমা দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মনোযোগ ইউক্রেনের যুদ্ধের দিকে কেন্দ্রীভূত হওয়ায় গত ১২ বছর ধরে সিরিয়ায় যে যুদ্ধ চলছে তা সকলেই যেন ভুলে গেছে। তবে মনোযোগ ক্রমান্বয়ে কমে যাওয়া সত্ত্বেও সহিংসতা, মানবাধিকার লংঘন এবং জীবনরক্ষাকারী সহায়তা থেকে বঞ্চিত বেসামরিক নাগরিকদের হতাশা অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘ কমিশন জানিয়েছে, সিরিয়ার অর্থনীতি এখন দ্রুত অধোগতির দিকে ধাবিত এবং সিরিয়াজুড়ে মানবিক চাহিদা এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান পাওলো পিনহেইরো বলেছেন, আনুমানিক এক কোটি ৪৬ লাখ সিরিয়ান মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। পিনহেইরো বলেন, এই ভয়ঙ্কর বাস্তবতা বিবেচনা করে, এটি অযৌক্তিক যে নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়াব্যাপী এবং প্রতিটি যথার্থ পথে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছানোর উপায় কিভাবে প্রসারিত করা যায় তার পরিবর্তে যে একটি মাত্র অবশিষ্ট অনুমোদিত সীমান্ত পারাপার আছে তা বন্ধ করা যায় কিনা তার প্রতি তাদের আলোচনা কেন্দ্রীভূত থেকেছে। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ লাখেরও বেশি মানুষ আগামী সপ্তাহে ত্রাণ বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আর এমন সময় নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা ইদলিবে তুরস্কের বাব আল-হাওয়া থেকে জাতিসঙ্ঘের মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখা হবে কিনা তা নিয়ে ভোটাভুটি করবে। রাশিয়া এই করিডোর দিয়ে পুনরায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে ভেটো দেয়ার হুমকি দিয়েছে বলে জানা গেছে। এতে বলা হয়, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে সরকারপন্থী শক্তি ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। মানুষ হত্যা ও আঘাত করা, বাড়িঘর ধ্বংস ও ক্ষতি করা অব্যাহত রয়েছে। এতে বলা হয়, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলেও একই ধরনের ঘটনা ঘটছে। কমিশনের চেয়ারম্যান পিনহেইরো বলেছেন, এই যুদ্ধ লাখ লাখ মানুষের জন্য অবর্ণনীয় দুর্দশা ও দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন