সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য
শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন করে এ দেশ থেকে ইসলাম নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। দেশের ঈমানদার তওহীদি ছাত্র-জনতা যে কোনো মূল্যে এই ইসলাম বিনাশী, নাস্তিক্যবাদী, হিন্দুত্ববাদী শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন রুখে দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইনশাআল্লাহ। সম্প্রতি বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুর রহীম সাঈদের সভাপতিত্বে ও খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মো. নেয়ামতুল্লাহর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র মুহাম্মাদ খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসউদ খান, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাদির, ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়কারী আবদুর রহমান, ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আবুল হাশিম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের মহাসচিব মুহাম্মাদ নুরুজ্জামান, ছাত্র ঐক্যের অর্থ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান সানী, ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম, খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ইসলামী ছাত্র খেলাফত-এর কেন্দ্রীয় নেতা মো. তকদির হোসেন, ইসলামী ছাত্রসামজের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদুল হাসানসহ প্রমুখ ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন করে এদেশের ঈমানদার মানুষকে বেঈমান বানানোর চক্রান্ত করছে। সেই সাথে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদেরকে জোরপূর্বক তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাঠ্যসূচি পড়ানো হচ্ছে। আমাদের পাঠ্যসূচিতে ছিল হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী, হযরত ওমর (রা.)-এর জীবনী, আবু বকর (রা.) জীবনী। ছিল যুগশ্রেষ্ঠ ইসলামিক লেখকদের কবিতা, প্রবন্ধ। কিন্তু সরকার কিছু নাস্তিক ও হিন্দুয়ানী ভাবধারার ব্যক্তিদের দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এ অবস্থায় দেশের ইসলামপ্রিয় তওহীদি ছাত্র-জনতা চুপ করে বসে থাকতে পারে না। ছাত্র ঐক্যের নেতাকর্মীরা নিজের জীবন দিয়ে হলেও এই ধর্মহীন শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও বিতর্কিত পাঠ্যসূচি সংশোধন করেই ছাড়বে ইনশাআল্লাহ।
পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন. মানুষের ভিতর আত্মশুদ্ধি বা আল্লাহর ভয় না থাকায় মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলছে। আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমেই জননিরাপত্তা ও মানবিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। রাসূল (সা.)-এর চরিত্রের অনুসরণ ও অনুকরণ না থাকায় হিংসা-বিদ্বেষের আগুনে জ্বলেপুড়ে ছাই হচ্ছে মানুষ। সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ে জর্জরিত জাতিকে বাঁচাতে হলে রাসূল (সা.)-এর অনুপম আদর্শের রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরিয়ে আনতে হলে ইসলামী অনুশাসনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ইসলাম, দেশ ও মানবতার চরম দুর্দিন চলছে। দুর্দশাগ্রস্ত জাতিকে ইসলামের মৌলিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, জাতিকে নৈতিকতাহীন করার পেছনে ঈমান ও ইসলাম বিধ্বংসী শিক্ষাআইন ও সিলেবাসই বেশি দায়ী। জাতিকে চরম ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে ঈমান ও ইসলাম বিধ্বংসী সিলেবাস সংশোধন প্রয়োজন।
সম্প্রতি রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ পার্শ্বে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি শের-ই বাংলানগর থানা ও রাজাবাজার এলাকাবাসীর উদ্যোগে পশ্চিম রাজাবাজার জামে মসজিদের খতিব অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ও মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলের পরিচালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জামিয়া কারীমিয়া রামপুরার শায়খুল হাদীস মাওলানা মকবুল হোসাইন, খতিব মুফতি কামরুল ইসলাম আরেফী, মুফতি মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা বিল্লাল হোসাইনসহ স্থানীয় উলামায়ে কেরাম। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন পশ্চিম রাজাবাজার মসজিদের সেক্রেটারি আলহাজ আমীর হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবক সাব্বির আহমদ মাসুদ, একরামুল কবীর লাভলু প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন