কেন গত এক সপ্তাহ থেকে গ্যাস এবং বিদ্যুতের সংকট তৈরি হয়েছে তার কারণ খুঁজতে সরকার এবং এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে ভোক্তা প্রতিনিধি, গণমাধ্যম ব্যক্তি স্টেকহোল্ডার, নাগরিক বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রাশেদুল হাসান এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গ্যাসের সিস্টেম লস এর নামে চুরি দুর্নীতি বন্ধ করা না গেলে উচ্চ মূল্যে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে গ্রাহকদের কাছ থেকে চড়া মূল্য আদায় করলেও সুফল মিলবে না। গত দুই বছর যাবত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি না করেও দেশীয় উৎপাদন সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আনা এলএনজি দিয়ে দেশের গ্যাস সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন সহ শিল্প প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের প্রশ্ন যেখানে দেশে ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় বলা হচ্ছে, তার বিপরীতে চাহিদা রয়েছে মাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াট। এবং যে পরিমাণ গ্যাস সর্ব রকম হচ্ছে তার ফলে মাত্র ৫০০ থেকে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হওয়ার কথা। এখানে প্রশ্ন অবশ্যই থেকে যায় তাহলে সংকটটা কোথায়? আমরা মনে করি অবৈধ সংযোগ আর চুরি লুটপাট বন্ধ না করা গেলে জনগণের উপর উচ্চমূল্য চাপিয়ে দিয়ে বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ মূল্যের এলএনজি আমদানি করেও স্বাভাবিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না। বর্তমান উন্নয়নের ধারাবাহক সরকার ও জনগণের মধ্যে একটি বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে যা সরকার এবং রাষ্ট্রের জন্য সুখকর নয়। তাই শতভাগ বিদ্যুতায়নের ও উন্নয়ন এর ধারক ও বাহক সরকারের প্রতি আমাদের দাবি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের পক্ষ থেকে এবং এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের পক্ষ থেকে ভোক্তা প্রতিনিধি, স্টেক হোল্ডার, গণমাধ্যম প্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে আমরা মনে করি। দেশের সেই সঙ্গে গ্যাসের চুরি আর লুটপাট বন্ধ করতে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন