পূর্বাচলে নতুন শহর প্রকল্পে মসজিদ, মাদরাাসাসহ ও এতিমখানার জমিতে বসবাসকারী জহির উদ্দিন মুন্সি ও সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসি মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে পূর্বাচলের ২০ নং সেক্টর এলাকায় হেলিপ্যাড চত্ত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, গোবিন্দপুরের বাসিন্দা জহির উদ্দিন মুন্সি ও তার ছেলে সালাউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে পূর্বাচলে জমির জালিয়াতিতে জড়িত রয়েছেন। তারা কখনও জমি দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ আবার কখনও একই জমি একাধিক ব্যক্তির কাছে বায়নাকরাসহ নানাভাবে প্রতারণা করে আসছেন।
তারা আরো জানান, সালাহ উদ্দিন পূর্বাচলের সেক্টর-২০, রোড- ৪০১/বি, ০৯, ১১, ১২, ১৪ নং প্লট বিক্রির কথা বলে আলীম ও আজিজের সঙ্গে চুক্তিপত্র করে। সেই মোতাবেক বিক্রয় বাবদ টাকা গ্রহণ করে । বায়না স্ট্যাম্প দলিল মূলে সালাউদ্দিন রাজউকের নকশা অনুমোদনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্লটের দখল বুঝিয়ে দেয়। জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক ব্যাংক চেক, ব্যাংক ডিপোজিট, পে অর্ডার এবং নগদ মোট ৭ কোটি ৭৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮২০ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে দখল বুঝে পেয়ে ক্রেতারা এক কোটি সত্তর লাখ টাকা খরচ করে ভবন নির্মাণ করে। কিস্তু সম্প্রতি ওই জালিয়াতচক্র রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার পরিবর্তে ওই জমি থেকে ক্রেতাদের উৎখাত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
বক্তাদের মধ্যে নাহিদ হাসান বলেন, সালাহউদ্দিন প্রতারণা করার উদ্দেশ্য জমি বিক্রির চুক্তিপত্রে নিজের শ্বাশুরির ভুল এনআইডি কার্ড নম্বর লিখেছেন। শুধু তাই নয় তিনি জমি বিক্রি বাবদ টাকা গ্রহণের পর আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে এতদিন বিদেশে আত্মগোপনে ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে দেশে এসে আব্দুল আজিজ ও তার ভাই আব্দুল আলিমকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে যেন এ জায়গার দখল ছেড়ে দেন।
বক্তারা আরো জানান, সালাউদ্দিন ও তার লোকজন ওই জমিতে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল প্রফেশনাল ইনস্টিটিউটের পরিবহনের কাজে নিয়োজিত বাস ভাংচুর করেছেন। নিরাপত্তা কর্মীসহ অফিস স্টাফ নির্যাতন করা ছাড়াও প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন। এ বিষয়ে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি করেছে ভুক্তভোগীরা। এ সময় প্রতিবাদকারীরা প্রতারক পিতা ওপুত্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
অপর এক তথ্যে সালাউদ্দিন পূর্বাচল প্রকল্পে তার মালিকানা ১০২ শতাংশ জমি নগদ তিন কোটি সত্তর লাখ টাকা গ্রহণ করে সাবকাবলা দলিল রেজিস্ট্রেশন করে দিলেও একই জমি জমি তরিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির নিকট ১০ কোটি টাকা মূল্যে রেজিস্ট্রি বায়না করে। এ ব্যাপারে তরিকুল সালাউদ্দিনের নামে মামলা করেছেন।
এদিকে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ বলেন, আমাদের মালিকানাধীন ন্যাশনাল প্রফশনাল ইনস্টিটিউট (এন পি আই) এর প্রতিষ্ঠাতাদের অর্থিক সহযোগিতায় তৈরি মাদরাসা, ইনস্টিটিউট, এতিমখানা এবং মসজিদের জায়গায় জোর করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে জহির উদ্দিন এবং সালাউদ্দিন এবং তার স্বজনরা। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানা ও নারায়ণগঞ্জ আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন