বিদ্যুৎ গ্যাসের সঙ্কট নিরসনে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হলে বিদ্যুৎ গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নিতে হবে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সময় নির্ধারণই সঙ্কট নিরসনের সঠিক পথ নয়। জনগণের ভোগান্তি লাঘব এবং সকল খাতের উৎপাদন প্রক্রিয়া চলমান রাখতে বিদ্যুৎ সঙ্কট দ্রুত নিরসন করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেছেন।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর : এলপিজি গ্যাস ইন্ডিয়ায় পাঁচাররোধ করতে কায়করি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে গ্যাস-বিদ্যুত সমস্যার সমাধানে দুর্নীতি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম। তিনি বলেন, দেশে গ্যাসের মারাত্মক সঙ্কট। এ সমস্যার সমাধান না করে ইন্ডিয়ায় চোরাইপথে গ্যাস পাঁচারের সুযোগ করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। এতে করে দেশে আরেক সঙ্কট সৃষ্টি করবে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমাদের দেশে গ্যাসের অনেক সঙ্কট। এখনো কোটি কোটি মানুষ গ্যাস থেকে বঞ্চিত। অপরদিকে ঢাকাসহ সারাদেশে এ সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করছে। অনেক এলাকায় সকালে গ্যাস থাকলে বিকেলে থাকে না। এমন সঙ্কট লেগেই আছে। এরমধ্যে ভারতে এলপিজি গ্যাস পাঁচার হয়ে যাচ্ছে। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করতে না পারলে গ্যাস, বিদ্যুতসহ কোন কিছুরই সঙ্কট দূর হবে না। তিনি বলেন, সরকারের প্রতিটি সেক্টরে সীমাহীন দুর্নীতির কারণে সর্বত্র এক মহাসঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, সারাদেশে ভয়াবহ বিদ্যুৎ লোডশেডিং এর কারণে জনজীবন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। কয়েক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা শোনা যাচ্ছে। শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত না করে বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই জনগণ মেনে নিবে না। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহে ক্রমাগত ঘাটতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে শিল্প কলকারাখানায় যা দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্বক হুমকি। তিনি দেশের জাতীয় স্বার্থে অনতিবিলম্বে বিদ্যুৎ ঘাটতি নিরসনের লক্ষ্যে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, রাস্তা-ঘাটে প্রচন্ড জ্যামের কারণে বাড়িমুখী মানুষদের ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে থেকে অসহ্য কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে আইনমৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সতর্ক ভূমিকা পালন করতে হবে এবং রাস্তায় রাস্তায় যাতে কোনো চাঁদাবাজি না হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে কঠোর হতে হবে।
মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, যারা কোরবানি দিচ্ছেন তারা তার কোরবানি না দেওয়া প্রতিবেশিকে কোরবানীর গোস্ত দিয়ে ঈদের আনন্দে শরীক করে নিতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন