সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কঠোর অবস্থানে র‌্যাব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

রাজধানীর পশুর হাটের নিরাপত্তায় র‌্যাব পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন বলেন,‘পশুর হাটের পাশাপাশি যাত্রাপথে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টি থেকে ঘরমুখো মানুষকে রক্ষা এবং অতিরিক্ত ভাড়ার ভোগান্তি লাঘবেও র‌্যাবের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা ঢাকার বাসাবাড়ির নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। অপরাধ করে কেউ যেন পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য রাজধানীজুড়ে চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি যেন চলাচল করতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গাবতলী গরুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বাসস্ট্যান্ডে ঘরমুখো মানুষের হয়রানি লাগবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আল মঈন বলেন, হাটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরু কেনাবেচা করেন। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য অনেক ওষুধ ব্যবহার করা হয়, এসব বিষয়ে নজরদারি রাখা হয়েছে। গাবতলী পশুর হাটে পশু ডাক্তারসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। কেউ যদি গরু মোটাতাজার ওষুধ আগে খাইয়ে নিয়ে আসেন, আর পরীক্ষায় সেগুলো ধরা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টাকা নিয়ে কারো সন্দেহ হলে গাবতলী গরুর হাটে র‌্যাব ক্যাম্পে এসে তা মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হাটে জাল টাকার ছড়াছড়ি রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেড় কোটি টাকার বেশি জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
হাটে গরু আনতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যারা গাবতলী এসেছেন, তারা চাঁদাবাজির শিকার হন উল্লেখ করে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা কোনও আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। এসব বিষয় কঠোর নজরদারিতে রেখেছি। হাটকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি রুখতে বিশেষ নজরদারি রয়েছে। কোনও ধরনের চাঁদাবাজি বরদাস্ত করা হবে না।
অনলাইনে গরু কিনতে গিয়ে যেকোনও ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে র‌্যাব ক্যাম্পে এসে সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল-এসব জায়গায় ঘরমুখো মানুষের কাছ থেকে যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা হয়, সে ব্যাপারেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রেল স্টেশনে কালোবাজারের দৌরাত্ম্য অনেকটাই কমে এসেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন গত ঈদ আমরা কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত থাকায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি। এ বছরও আমরা কমলাপুর রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অনেককে গ্রেফতার করেছি।
ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজি, মলমপার্টি— এদের বিষয়েও কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে আমরা গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। নাগরিকরা কোনও ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হবেন। আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, আমাদের গোয়েন্দারা মাঠে রয়েছেন। যারা চাঁদাবাজি করবে, রাস্তায় ডাকাতির পরিকল্পনা করবে, এ সব বিষয়ে আমরা কঠোর মনিটরিং করছি। ফাঁকা ঢাকায় যেকোনও ধরনের চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। যারা বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যাবেন, তাদের বাসার সিসিটিভি যেন সক্রিয় থাকে।
বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে যাতে করে অপরাধীরা অপরাধী করে পালিয়ে যেতে না পারে জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, যেকোনও উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাব প্রস্তুত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন