ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজট আরও বেড়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া যানজটের সারি ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। আজ বিকালে সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে হাজারো মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে গাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সকালে সেতুর পশ্চিম প্রান্তে বাস ও পিকআপভ্যানের সংঘর্ষের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। এ দুর্ঘটনার কারণে ভোরে এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট সেতুতে টোল আদায়ও বন্ধ থাকে। ফলে সকালে যানজট সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার কালিহাতীর এলেঙ্গা ছাড়িয়ে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহনের চাপ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে যানজটও দীর্ঘ হতে থাকে। বিকেল নাগাদ দীর্ঘ এই যানজট বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়।
এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নারীদের। প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতে তারা মহাসড়কে পাশে থাকা বাড়িগুলোতে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।তারা জানান, গত ঈদে মহাসড়কের পাশে নির্মাণ করা বলিক টয়লেট থাকলেও সেখানে পানির ব্যবস্থা না থাকায় সেগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে যেতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সেতুর ওপর দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী ২৫ হাজার ১১৩টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৭৩ লাখ ৮৯ হাজার ৯০০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৮ হাজার ৪৮২টি যানবাহন পার হয়েছে। টোল আদায় হয় এক কোটি ৬০ লাখ ১৭ হাজার ৮০০ টাকা।
টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, স্বাভাবিক অবস্থায় সেতু দিয়ে প্রতিদিন ১২/১৩ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। প্রতি বছর দুই ঈদের সময় যানবাহন পারাপারের সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত বছরের তুলনায় এবার খুব কম সংখ্যক মোটর সাইকেল সেতু পারাপার হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৩৪১টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। যা গত বছর ছিল প্রায় ১৮ হাজার। পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, যানজট নিরসনে মহাসড়কে সাত শতাধিক পুলিশ কাজ করছে। বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপরে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কের যানজট শুরু হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন