শীর্ষ তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের পাশাপাশি ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলোতেও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমিয়ে আনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি ওপেক-বহির্ভূত অন্যতম শীর্ষ তেল উত্তোলক দেশ আজারবাইজানের তেলমন্ত্রী এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। রয়টার্স জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকেই কমতে শুরু করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। সব ধরনের বাজারে গুরুত্ব বহন করা পণ্যটি বতর্মানে ২০১৪ সালের তুলনায় ৬০ শতাংশ কম দরে বিক্রি হচ্ছে। পণ্যটির বাজার স্থিতিশীল করতে শীর্ষ তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক নানা ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ওপেক-বহির্ভূত শীর্ষ উত্তোলক দেশগুলো চাইছে পণ্যটির দর আগের অবস্থায় ফিরে আসুক। আগামী বুধবার উত্তোলন কমিয়ে দাম স্থিতিশীল অবস্থায় ফেরাতে ভিয়েনায় বৈঠকে বসবে ওপেকভুক্ত দেশগুলো। জ্বালানি তেলের উত্তোলন নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছে অন্যতম শীর্ষ উত্তোলক দেশ রাশিয়া। ওপেক-বহির্ভূত এ দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী, এমনকি প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তবে এবার হয়তো ওপেকই ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলোয় জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে। আজারবাইজানের তেলমন্ত্রী বলেছেন, জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমিয়ে আনার ব্যাপারে সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে ওপেক। এমন পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটি ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলোতেও পণ্যটির উত্তোলন কমিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করতে পারে। ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলোয় জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন ৮ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেলের মধ্যে রাখার জন্য ওপেক আহ্বান করতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ওপেক-বহির্ভূত শীর্ষ উত্তোলক দেশগুলো যদি দৈনিক ৮ লাখ ব্যারেলের বেশি তেল উত্তোলন করে, তাহলে বাজারে পণ্যটির বাড়তি সরবরাহ থেকেই যাবে। ফলে দাম বাড়ানোর যে চেষ্টা করা হচ্ছে, তা বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন