শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্পোরেট

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিশ্ব পুঁজিবাজার

কর্পোরেট ডেস্ক ঃ | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

 বিশ্ব পুঁজিবাজারে সম্প্রতি যে ধকল গেছে, সেখান থেকে তা এখন ২০ শতাংশ উত্থানে ফিরেছে। এর অর্থ বিশ্ব পুঁজিবাজারে এখন সুদিন ফিরছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। চলতি বছরে বিশ্বের প্রধান প্রধান পুঁজিবাজারে কতটুকু ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে তার একটি চিত্র প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক পুঁজিবাজারের কোথাও কোথাও সূচক বেড়েছে ৩০ শতাংশেরও বেশি। কানাডার টরেন্টোতে প্রধান সূচক টিএসএক্স চলতি বছরের জানুয়ারির পর বেড়েছে ৩১ শতাংশ; যুক্তরাজ্যে এফটিএসই ১০০ সূচক ফেব্রæয়ারির পর বেড়েছে ২৩ শতাংশ; চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির পর জার্মানির বাজারে ডিএএক্স সূচক বেড়েছে ২২ শতাংশ; এ সময়ে নেদারল্যান্ডসের বাজারে ২০ শতাংশ বেড়েছে এইএক্স সূচক; নরওয়েতে জানুয়ারি থেকে বাজারের সব সূচকই বেড়েছে ৩১ শতাংশ; গ্রিসের পুজিবাজারে দেখা গেছে সূচকের উল্লম্ফন। ফেব্রæয়ারির পর অ্যাথেক্স কমপোজিট সূচক ৫০ শতাংশ বেড়েছে; জানুয়ারির পর রাশিয়ার বাজারে মাইচেক্স সূচক ৩১ শতাংশ ও আরটিএস সূচক বেড়েছে ৬৭ শতাংশ; আর্জেন্টিনায় মার্ভাল ইনডেক্স বেড়েছে ৮৭ শতাংশ; ব্রাজিলের সাও পাউলো থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে পর বোভেসপা সূচক বেড়েছে ৬৬ শতাংশ; চলতি বছরে চীনের সাংহাই ও হংকংয়ে সূচক বেড়েছে যথাক্রমে ২৩ ও ৩১ শতাংশ; জুনের পর জাপানের বাজারে নিক্কেই বেড়েছে ২২ শতাংশ; ফেব্রæয়ারির পর অস্ট্রেলিয়ার বাজারে এএসএক্স সূচক বেড়েছে ৪৩ শতাংশ; সৌদি আরবে অক্টোবর মাসের পর সব ধরনের সূচক বেড়েছে ২৮ শতাংশ। এদিকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও এ সময়ে দেখা যায় ইতিবাচক ধারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের পুঁজিবাজার সামনের দিনে আরও এগুবে। ডিএসইর ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ছিল ৩৫০ কোটি টাকার কিছু উপরে। বর্তমানে সেটি ৬৫০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সূচকও। সিএনএনের খবরে বলা হয়, প্রত্যেক স্টক মার্কেট ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসতে স্বতন্ত্রভাবে কিছু ফ্যাক্টর কাজ করেছে। যা বিশ্ব পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে। চলতি বছরের ফেব্রæয়ারিতে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম দাম পড়ে যায় ২৬ ডলারে। যা বিশ্ব পুঁজিবাজারের সূচকগুলোতে আতঙ্ক তৈরি করে। একইসঙ্গে নেতিবাচক প্রভাব ফেলায়। অনেক মার্কিন কোম্পানি এসময় দেউলিয়ার দিকে যায়। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক মাসে তেলের বাজার আবারও ঘুঁরে দাড়ায়। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে এক ব্যারেল তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ ডলার। যা বিনিয়োগকারীদের আবারও বাজারের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়া ও নরওয়ের মতো দেশে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব দেখা গেছে। চলতি বছরের শুরুতে চীনের অর্থনীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ ছিল চরমে। যা দেশটির পুঁজিবাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু এখন বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশীয় বিনিয়োগকারীরা রিয়েল এস্টেট খাতের বাইরে বিনিয়োগ করার জায়গা খুঁজে পেয়েছে। সরকার এখন অবকাঠামো খাতে অর্থ ঢালছে। আর এই টাকা ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ধার নিচ্ছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে বাজারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন