সাংবাদিক মিজানুর রহমান তোতার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত ১৭ জুলাই ২০২১ সালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ব্যাক্তি জীবনে পরিচ্ছন্ন এবং সাদা মনের মানুষ মিজানুর রহমান তোতা সাংবাদিকতা ছাড়াও লেখালেখি করতেন। তিনি একজন কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে মানুষের যাপিত জীবন দেখে, নদী ও প্রকৃতি দেখে তিনি কবিতা ও গল্প লিখতেন।
বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতার জীবন : মিজানুর রহমান তোতার জন্ম ঝিনাইদহে। যশোর থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক স্ফুলিঙ্গের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি। পরে তিনি দৈনিক আজাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেন। দৈনিক ইনকিলাব প্রকাশের পর তিনি তাতে যোগদান করেন। আমৃত্যু তিনি ইনকিলাবেই ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দু’কন্যা ও এক ছেলের জনক ছিলেন। তার স্ত্রী রেবা রহমান দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার যশোর ব্যুরো’র স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। ২০১৮ সালের ৮ আগষ্ট রেবা রহমান মারা যান।
যশোর সংবাদপত্র জগতে বিচরণ করে অবিভক্ত যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, এক বার প্রেসক্লাব যশোরের সেক্রেটারি ও তিন বার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ১৯৭৭ সাল থেকেই ছড়া, কবিতা, সংবাদ লেখালেখিতে প্রবেশ। ১৯৭৮ সালে দৈনিক গণকন্ঠের রিপোর্টার, সমাচারের স্টাফ রিপোর্টার, ১৯৭৯ সালে দৈনিক স্ফুলিঙ্গের স্টাফ রিপোর্টার, ১৯৮০ সালে পিআইবির লং কোর্সের প্রশিক্ষণ, পরবর্তীতে দৈনিক স্ফুলিঙ্গের নিউজ এডিটর, দৈনিক ঠিকানায় এক্সিকিউটিভ এডিটর, দৈনিক আজাদের স্টাফ রিপোর্টার ও বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এর মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি, সাপ্তাহিক পূর্ণিমায় খণ্ডকালীন লেখালেখি, তারপর থেকেই দৈনিক ইনকিলাবে একটানা তিনি কাজ করেছেন। সাংবাদিকতার ওপর তার ‘মাঠ সাংবাদিকতা’ এবং আত্মজীবনি ‘ক্ষতবিক্ষত বিবেক’ নামের গ্রন্থ দুটি ইতোপূর্বে খুবই সমাদৃত হয়েছে। প্রথিতযশা এই সাংবাদিক সাহিত্যচর্চা করেন বহুদিন। তার অসংখ্য কবিতা দেশে-বিদেশের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তার নির্বাচিত ৮০টি কবিতা নিয়ে ‘দিবানিশি স্বপ্নের খেলা’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ হয়েছে।
তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে পরিবারের পক্ষ থেকে বাদ আসর যশোর শহরের নূতন খয়েরতলা পারিবারিক কবরস্থানের পাশের মাদরাসায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদাউসে স্থান দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন