রাখে আল্লাহ মারে কে! একেই বলে আল্লাহর কুদরত! আল্লাহ সবকিছুই পারেন। আল্লাহর শান বোঝা বড়ই কঠিন। ৭ মাসের অন্তস্বত্ত্বা রত্না বেগম (৩২) যাচ্ছিলেন স্বামী-মেয়েসহ মেডিকেল চেকআপের জন্য। রাস্তায় ঘাতক ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তিন জনই মারা যান। কিন্তু আল্লাহর কি কুদরত! দুর্ঘটনাস্থলে রত্মা বেগমের পেট ফেটে বেরিয়ে আসে এক নবজাতক। এই দূষিত পৃথিবীতে স্বাগত নতুন অতিথিকে। শুধু তাই নয়, অলৌকিকভাবে বেঁচেও গেছে সেই নবজাতক। শিশুটিকে ময়মনসিংহ সদরের সিবিএমসিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতভাগ্য এই নবজাতকের আগামীর জীবনে কি ঘটবে কে জানে?
সড়ক দুর্ঘটনায় গতকাল সারাদেশে ২৮ জনের খবর পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাক চাপায় অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার স্বামী মৃত্যুর এবং নবজাতকের জন্ম দেয়ার বিড়ল ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘাতক ট্রাক রাস্তায় ট্রাক এমন ভাবে পিষিয়ে দিয়েছে যে রত্মা বেগমের পেট থেকে সাত মাসের বাচ্চা বেরিয়ে গেছে। বাবা মা দুজনই স্পটে প্রাণ হারিয়েছেন; অথচ বেঁচে আছে সেই শিশু। ওই দুর্ঘটনায় রত্না বেগম ছাড়াও প্রাণ হারিয়েছেন স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০), ৬ বছরের শিশু সন্তান সানজিদা। তাদের বাড়ি উপজেলার রায়মণি এলাকায়।
রত্না বেগমের স্বামী নিহত জাহাঙ্গীরের চাচাতো ভাই আরিফ রব্বানী জানান, রত্না বেগম অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার ডেলিভারির তারিখ দুইদিন পার হয়ে যাওয়ায় তিনি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্টাসনোগ্রাফি করতে আসেন। এরপর সেখান ফেরার পথে রাস্তা পারাপারের সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই পরিবারের ওই তিনজনের মৃত্যু হয়। তবে এসময় আঘাত পেয়ে গর্ভপাত ঘটে রত্নার।
প্রতিবেশী মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পেট ফেটে বাচ্চা বের হওয়ার খবর পেয়ে আমি সেখানে ছুটে যাই। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সদরের সিবিএমসিবি ভর্তি করে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে।
হাসপাতালটির মেডিকেল অফিসার আরিফ আল নূর বলেন, আমরা বাচ্চাটির অবস্থা ভালো পেয়েছি। পরে এক্সরে করার পর ডান হাতের দুটি অংশে ভাঙা দেখা গেছে। সে এখন শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নবজাতকের দীর্ঘায়ু কামনায় করছেন প্রায় সকলেই। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন