সউদী আরবে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এ বছর আরও একজন বাংলাদেশি হাজী ফারজিন সুলতানা (৪১) ইন্তেকাল করেছেন। ইনড়বালিল্লাহি ওয়া ইনড়বা ইলাইহি রাজিউন। এ নিয়ে এবারের হজ মৌসুমে হজ পালন করতে গিয়ে ২০ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হলো। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন, নারী ৬ জন। ফারজিন সুলতানা হজের ছয় দিন পর ১৪ জুলাই মারা যান। গতকাল শনিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল পিলগ্রিমের ডেথ নিউজে এসব তথ্য জানা গেছে। ফারজিন সুলতানার বাড়ি রাজধানী ঢাকার মিরপুরে। তার পাসপোর্ট নম্বর ইড০৩৮৯৮৩০। তার হজ গাইড মো. ফখরুদ্দিন, মোনাজ্জেম মো. আসাদুল হক মামুন। সউদী আরবের আইন অনুযায়ী তাদের সবাই০কে সউদী আরবেই দাফন করা হয়েছে।
হজের ছয় দিন পর ১৪ জুলাই আরও দুইজন মারা যান, তারা হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মো. আজিজুল হক (৬৫) ও টাঙ্গাইল সদরের মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৬১); ১৩ জুলাই মারা যান চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের মো. শাহজাহান সিরাজ (৫৮) ও সিলেটের বিয়ানী বাজার এলাকার মো. ফয়জুর রহমান (৫০)। হজের আগের দিন ৭ জুলাই মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুরের বাসিন্দা শিরিন আখতার (৬০), ৪ জুলাই মারা যান নওগাঁর সাপাহারের মো. আব্দুল মোত্তালিব (৫৮), এর আগের দিন ৩ জুলাই মারা যান নওগাঁর সাপাহারের মো. রফিকুল ইসলাম (৫২) ও রংপুরের পীরগাছার মো. খয়বর হোসেন (৫৫)। ১ জুলাই মারা যান মাদারীপুরের শিবচরের লায়লা আক্তার (৫২) ও রাজধানী ঢাকার লালবাগের বাসিন্দা তপন খন্দকার (৬২)। এর আগের দিন ৩০ জুন মারা যান দুইজন। তারা হলেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম (৪৭) ও ঢাকার বাড্ডার ফাতেমা বেগম (৬০)। ২৮ জুন মারা যান টাঙ্গাইলের সখিপুরের বাসিন্দা মো. আব্দুল গফুর মিয়া (৬১)। ২১ জুন মারা ঢাকার কোতয়ালীর বিউটি বেগম (৪৭) ও রংপুরের পীরগাছার বাসিন্দা মো. আব্দুল জলিল খান (৬২)।
১৭ জুন মারা যান দুইজন। তারা হলেন জয়পুরহাট সদরের মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা (৬৩) ও কুমিল্লার আদর্শ সদরের রামুজা বেগম (৫৪)। ১৬ জুন মারা যান নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বাসিন্দা নুরুল আমিন (৬৪)। গত ১১ জুন এবারের হজে গিয়ে প্রথম মারা যান চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. জাহাঙ্গীর কবির (৬০)। গত ৫ জুন থেকে ৫ জুলাই ১৬৫টি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে সউদী আরবে গেছেন ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজযাত্রী। হজ শেষে গত বৃহস্পতিবার ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়েছে চলবে ৪ আগস্ট পর্যন্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন