উপাত্ত সুরক্ষা আইন তথ্য বা উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়। বরং সেটিকে সুরক্ষার জন্য করা হচ্ছে। মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, এ আইন যাতে সর্বজনীন হয়, তার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ সভা (স্টকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠান) করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার ঢাকার হোটেল রেডিসনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২২’র খসড়া বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ সভার আয়োজন করে আইনমন্ত্রণালয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন যাতে সর্বজনীন হয় এবং বাংলাদেশের জনগণ যাতে এই আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত পৃথিবীকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার উপযোগী করে তোলার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ সভা করা হচ্ছে। আমরা সবার সুরক্ষার জন্যই ডেটা বা তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ আইন করছি।
এই আইন নিয়ে জুলাই-আগস্ট মাসে আরও দু-তিনটি পরামর্শ সভা করা হবে। এসব সভার মাধ্যমে উঠে আসা যুক্তিসঙ্গত সুপারিশগুলো গ্রহণ করে সবার জন্য মঙ্গলজনক ও গ্রহণযোগ্য আইন করা হবে।
এই আইনের দ্বারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে কি-না -জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের সময় বঙ্গবন্ধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপারে যে সুরক্ষা ও নিশ্চয়তা দিয়ে গেছেন, সেখানে হাত দেয়ার ক্ষমতা কারও নেই। বর্তমান সরকার যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করে এবং জাতির পিতার নীতি অনুসরণ করে সেজন্য আমরা সেখানে হাত দেব না।
মতবিনিময় সভায় সঞ্চালক ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সভাপতিত্ব করেন। মতবিনিময় সভায় আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র লেজিসলেটিভ এক্সপার্ট মো. শহিদুল হক, আইসিটি এক্সপার্ট তারিক এ বরকতউল্লাহ প্রমুখ মতামত তুলে ধরেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন