সম্ভাবনাময় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে ২৫ সিন্ডিকেট বরদাশত করা হবে না। জনগণ ও দেশের স্বার্থে ২৫ সিন্ডিকেটের লাইসেন্স বাতিল করে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের সুযোগ দিতে হবে। প্রবাসী মন্ত্রী ও সচিব বিগত ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার সাথে বৈষম্যমূলক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। জনশক্তি রফতানি সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের ধারা সংশোধন করতে হবে। মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানিতে ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেট পদ্ধতি বাতিল করে সকল বৈধ এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত রাখা, সিন্ডিকেট সদস্যদের লাইসেন্স বাতিল ও তাদের বিচারের দাবিতে আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে হলরুমে বায়রা সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির জটিলতা নিরসনের দাবিতে সরকারের নিকট ১০ দফা দাবি পেশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি রিয়াজ উল-ইসলাম, মহাসচিব মোস্তফা মাহমুদ, সহ সভাপতি গোলাম ফারুক, গোলাম ফোরাব সভাপতি আব্দুল আলীম, সহ সভাপতি মোস্তফা বাবুল রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের মহাসচিব আরিফুর রহমান, টি এম ওভারসীজ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী এ এইচ এম মঈন উদ্দিন (তিতাস), বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
প্রস্তাবিত দাবিগুলো হচ্ছে, অবিলম্বে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার সাথে যে সমঝোতার দেশের সার্বভৌম বিরোধী ধারা সংশোধন করতে হবে, সকল বৈধ এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়া, লিবিয়াসহ সকল শ্রমবাজার উন্মুক্ত রাখতে হবে, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক রফতানিতে (এফ ডব্লিউসিএমএস) সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে,
সিন্ডিকেটের যে সকল সদস্য মন্ত্রণালয়ের বিনা অনুমতিতে মালয়েশিয়ার জন্য কর্মী বাচাই ও মেডিক্যাল টেষ্ট করেছে তাদের লাইসেন্স স্থগিত করতে হবে,
বিগত ১০টি সিন্ডিকেটের অপরাধের বিচার করতে হবে, প্রতিযোগীতা আইন ২০১২ এবং আই এল ও কনভেনশান অনুযায়ী সকল বৈধ এজেন্সীকে সকল দেশের শ্রমিক রপ্তানির সুযোগ দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের মহাসচিব আরিফুর রহমান বলেন, ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ২৭৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স ব্লক করে রেখেছে। দূতাবাসে টাকা ছাড়া ভিসা হয় না। সউদীতে অনেকেরই কাজ নেই ইকামা নেই। এর আগেও ড্রপ বক্সের কথা শুনেছি। দূতাবাসের এসব অরাজকতা দেখার কেউ নেই। টি এম ওভারসীজ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী এ এইচ এম মঈন উদ্দিন (তিতাস) বলেন, গত এক মাসে ডিমান্ড সংগ্রহের নামে সিন্ডিকেট চক্র মালয়েশিয়ায় কোটি কোটি টাকা পাচার করছে। তিনি বলেন, প্রবাসী মন্ত্রী ও প্রবাসী সচিব বৈষম্য মূলক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, সউদী দূতাবাস ২০০ ডলার ছাড়া ভিসা ইস্যু করে না। এসব অব্যবস্থাপনা দেখার কেউ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন