তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত, বানভাসির কষ্ট ও লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় কাতর মানুষ। জ্বালানি সঙ্কটের কারণে দেশে এলাকাভিত্তিক বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। আজ মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং কার্যকর হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অফিসের কিছু কার্যক্রম ভার্চুয়ালি করা এবং রাত ৮টার পর থেকে দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পাশাপাশি মসজিদে এসি বন্ধ, সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রলপাম্প এবং লোডশেডিং দুই ঘণ্টা পর্যন্ত হচ্ছে। খরচ সাশ্রয়ের জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্তও নিয়েছে। গ্যাসের অভাবে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে সরকারকে। লোডশেডিং কতদিন চলবে তা বলা হয়নি। এদিকে ডিপিডিসি লোডশেডিংয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পরিপত্র জারি করা হয়নি বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস ছাড়াও বিদ্যুৎ জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। রাত ৮টার পর থেকে দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পাশাপাশি মসজিদে এসি বন্ধ রাখতে তাগিদ দিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে আরো কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করা, সরকারি-বেসরকারি অফিসের কিছু কার্যক্রম ভার্চুয়ালি করা এবং সপ্তাহে একদিন করে পেট্রলপাম্প বন্ধ রাখা।
বিকালে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে এক ঘণ্টা করে আগামীকাল থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং হবে। এরই অংশ হিসেবে উপাসনালয়ে সাশ্রয়ীভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার নামাজের সময়সূচি ছাড়া অন্য সময়ে এসি বন্ধ রাখতে হবে। এর আগে সকালে জ্বালানি তেলের লোকসান কমাতে আজ মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে শিডিউল অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হবে। নসরুল হামিদ বলেন, ঘাটতির কারণে এলাকাভিত্তিক বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এখন নিজস্ব গ্যাস ও আমদানি করা যতটুকু পর্যন্ত গ্যাস আনা যাচ্ছে তা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। কারখানায় গ্যাসের কিছুটা দিতে হচ্ছে। এ জন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার নেয়া হচ্ছে। এখন জ্বালানি স্বল্পতার কারণে সন্ধ্যায় ১০০০ থেকে ১৩০০ মেগাওয়াট ঘাটতি হচ্ছে। ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে গড়ে উৎপাদন ১৩ হাজার ৭০ মেগাওয়াট। পেট্রোবাংলার হিসাবে, একশ’ কোটি ঘনফুট এলএনজি আনার কথা থাকলেও আসছে ৫০ কোটিরও কম।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীতে একটা যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। ইউক্রেনের যে যুদ্ধ, সে যুদ্ধ কিন্তু আমাদেরও যুদ্ধ। ওই যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে আমাদের ওপর। তিনি বলেন, যাদের অর্থের অভাব নেই, তারাও কিন্তু লোডশেডিং করছে। যুক্তরাজ্যে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে। উৎপাদন কমিয়ে খরচ যাতে সহনশীল হয়, সে পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। ডিজেলের বিদ্যুৎ উৎপাদন আপাতত স্থগিত করলাম, তাতে অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। মনে রাখতে হবে, ডিজেলের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে।
তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ধারণা, এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। এতে দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা এবং কোনো কোনো জায়গায় দুই ঘণ্টাও লোডশেডিং হতে পারে। কিন্তু দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং পৃথিবীর এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকদের সামনে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, কোন এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং হবে, তা আগে থেকে গ্রাহককে জানিয়ে দেয়া হবে। আমরা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি শিল্প খাতকে।
তিনি আরো বলেন, আগামী এক সপ্তাহে এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়া হবে। পরে পরিস্থিতি বুঝে ভিন্ন রকম সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা লোডশেডিং হবে। এক সপ্তাহ পরীক্ষামূলক করা হবে। এরপর দুই ঘণ্টা করা হবে। বিদ্যুৎকে সাশ্রয়ী করার জন্য এটা করা হচ্ছে। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এক হাজার মেগাওয়াট তেলের পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করে দিয়েছি। এতে আমাদের এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি হবে। বিশ্বের সব দেশেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পলিসিতে যাচ্ছে। আমরাও সে পন্থায় যেতে চাই। শিল্প এলাকায় গুরুত্ব দিয়ে লোডশেডিং পরিকল্পনা করা হবে। উপাসনালয়, সরকারি অফিস-যানবাহনে এসি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। আমাদের ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করতে হবে। সভা-সমাবেশ অনলাইনে করা, তেলের পাম্প পর্যায়ক্রমে এক দিন বন্ধ করা হতে পারে। যদিও সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। বিদ্যুতের সাশ্রয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৮টা থেকে শপিংমল বন্ধসহ সব ধরনের আলোকসজ্জা বন্ধ থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, সভায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস ভার্চুয়ালি করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারি অফিসগুলোয় কীভাবে সময় কমিয়ে আনা যায়, সেটাও ভাবা হচ্ছে বলে বৈঠকে জানানো হয়। সরকারি অফিসগুলো ভার্চুয়ালি পরিচালনার বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সমন্বয় করবে।
জানা গেছে, গত ১৩ বছরে সরকার বিদ্যুৎ খাতে যেসব উন্নয়ন করেছে তার মধ্যে রয়েছে, ৫ হাজার ২১৩ সার্কিট কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ। এছাড়া মোট ৩ লাখ ৬১ হাজার কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে নতুন গ্রাহকের সংযোগ সাড়ে তিন কোটি। বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৪৭ ভাগ থেকে ৯৯ শতাংশে পৌঁছেছে। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ২২০ কিলোওয়াট থেকে প্রায় ৫৬০ কিলোওয়াটে গিয়ে ঠেকেছে। পাশাপাশি সিস্টেম লস ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছে। এর বাইরে ৪৬ লাখ ৭৭ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া আরো এক কোটি প্রিপেইড মিটার প্রস্তুত। সেচ মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সোলার হোম স্থাপন করা হয়েছে ৬০ লাখ। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪ হাজার মেগাওয়াট। তবে এখন ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট। দেশে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। সর্বমোট ৪৬ লাখ ৭৭ হাজার প্রি-পেইড ও স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। সেচকাজে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। ই-টেন্ডারিং, ই-নথি, ইআরপি, স্ক্যাডা, জিআইএসসহ অনলাইনভিত্তিক সফটওয়্যার চালু করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে পেপারলেস অফিস স্থাপন করা হচ্ছে।
পিকিং প্ল্যান্টগুলো মূলত ওপেন সাইকেল গ্যাস টারবাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। অন্যদিকে আর বেজ লোড প্ল্যান্টগুলো পরিচালিত হয় কম্বাইন্ড সাইকেল গ্যাস টারবাইনের মাধ্যমে। সাধারণত বেজ লোডের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হয়ে থাকে কয়লা ও গ্যাসচালিত কিংবা জলবিদ্যুৎচালিত, অপরদিকে পিক লোড বা পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো হতে পারে ফার্নেস অয়েল বা ডিজেলচালিত। দেশের অধিকাংশ বেজ লোড পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো সরকারি মালিকানাধীন। আর পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো হলো রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, যা বেসরকারি মালিকানায় পরিচালিত। ২০১০ সাল নাগাদ তরল জ্বালানি দ্বারা পরিচালিত কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট দ্বারা দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫ শতাংশ উৎপাদিত হতো, ২০১১ সাল নাগাদ যা দাঁড়ায় ১৩ শতাংশ এবং ২০১২ সাল নাগাদ যা ছিল ১৭ শতাংশ। ২০১৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ১১টি রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ছিল গ্যাসচালিত এবং ১৭টি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ছিল। আর এভাবে উত্তরোত্তর উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে শতভাগ বিদ্যুতের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। একই সাথে বিশ্বের ১৩তম আলট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দেশে পরিণত হলো দেশ। ডিপিডির এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের তালিকায় বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাব, মোহাম্মদীয়া হাউজিং, জাপান গার্ডেন সিটি, ফতুল্লা টেকের মাঠ, ঝিগাতলা, হাজারীবাগ, মালিবাগ বাজারসহ ১০টি এলাকায় দেয়া হয়েছে।
২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ২৪ হাজার ৯৮২ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে এবং বিদ্যুতের সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৪৭ থেকে ৯৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলার দৈনিক গ্যাস প্রতিবেদনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর চাহিদার মাত্র ৪২ শতাংশ সরবরাহের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত রোববার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য চাহিদা ধরা হয়েছে ২২৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের। কিন্তু এর বিপরীতে গ্যাস সরবরাহ করা যাবে ৯৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। সার উৎপাদনেও চাহিদার অর্ধেকের কম গ্যাস সরবরাহ করার পূর্বাভাস রয়েছে পেট্রোবাংলার প্রতিবেদনে। সব মিলিয়ে সারাদেশে ২৮৭৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করার পূর্বাভাস দেখানো হয়েছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) হিসাবে, ১৪২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা ধরা হয়েছে। কিন্তু জ্বালানি স্বল্পতার কারণে আমরা ৮০০ থেকে ৯০০ মেগাওয়াট কম উৎপাদন করতে পারব বলে জানিয়েছেন পিডিবির এক কর্মকর্তা। পিডিবির ১৫২টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। তবে ক্যাপটিভসহ মোট উৎপাদন ক্ষমতা সাড়ে ২৫ হাজার মেগাওয়াটের মতো। এর মধ্যে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৫১ শতাংশ, তেলভিত্তিক এইচএফও ও এইচডিও কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৩৪ শতাংশ। কয়লা থেকে প্রায় ৮ শতাংশ, আমদানি থেকে ৫ শতাংশ বিদ্যুৎ আসে। বাকিটা পূরণ করে সৌর ও পানিভিত্তিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি। পিডিবির ওই কর্মকর্তা বলেন, জ্বালানি সরবরাহ ঠিক থাকলে চাহিদারও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করার মতো যথেষ্ট কেন্দ্র আমাদের রয়েছে। কিন্তু আজকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য গ্যাসের যে চাহিদা রয়েছে, তার অর্ধেকও হয়তো আমরা পাব না।
দেশের তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন পেট্রোবাংলার দৈনিক গ্যাস প্রতিবেদনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর চাহিদার মাত্র ৪২ শতাংশ সরবরাহের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রোববার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য চাহিদা ধরা হয়েছে ২২৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের। কিন্তু এর বিপরীতে গ্যাস সরবরাহ করা যাবে ৯৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। সার উৎপাদনেও চাহিদার অর্ধেকের কম গ্যাস সরবরাহ করার পূর্বাভাস রয়েছে পেট্রোবাংলার প্রতিবেদনে। সব মিলিয়ে রোববার সারাদেশে ২৮৭৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করার পূর্বাভাস দেখানো হয়েছে। এদিকে আমদানি করা এলএনজি সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন