রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চিহ্নহীন গতিরোধকে ছিটকে পড়ে ইডেন ছাত্রীর মৃত্যু

মোটরসাইকেলের গতিতে চলছিল ব্যাটারিচালিত রিকশা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

ঈদের ছুটি শেষে বুধবার বিকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে ভোলা থেকে লঞ্চে উঠেন ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী উম্মে সালমা (২৪)। তার সহযাত্রী ছিলেন চাচাতো ভাই হাসান। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট টার্মিনালে পৌঁছে। সেখান থেকে কলেজ হোস্টেলের উদ্দেশ্যে একটি রিক্সায় ওঠেন তারা। রিক্সাটি ছিল ব্যাটারিচালিত। ভোর সোয়া ৪টা। রাস্তাঘাট ছিল একেবারেই ফাঁকা। যুবক বয়সের রিক্সাচালক ফাঁকা রাস্তায় রিকশাটি যেন চালাচ্ছিল মোটরসাইকেলের গতিতে। বেপরোয়া গতিতে রিক্সা চালাতে একাধিকবার নিষেধ করেন আরোহী সালমা ও তার ভাই। কিন্তু রিক্সাচালক শুনলেন না তাদের কথা। বংশাল নর্থ সাউথ রোড মাহমুদ টাওয়ারের সামনে রিক্সাটি স্পিডব্রেকারের ওপর উঠতেই ঘটে দুর্ঘটনা। রিক্সারোহী দুই ভাই বোন ছিটকে পড়ে যান রাস্তায়। মাথায় গুরুতর আঘাত পান সালমা। হাসানও আহত হন। অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায় রিক্সাচালক। পথচারিদের সহায়তায় সালমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সালমাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। নিহত সালমার গ্রামের বাড়ি ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুরে। বাবার নাম গোলাম কিবরিয়া। তিনি ইডেন মহিলা কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে অনার্স ও সম্প্রতি মাস্টার্স শেষ করেছেন। থাকতেন রাজিয়া ছাত্রী নিবাসে।
বংশাল থানার এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে নিহতের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। রাতের কারণে চালককে স্পষ্ট চেনা যাচ্ছে না। তিনি আরও জানান, রাস্তায় থাকা স্পিডব্রেকারটা হয়তো অন্ধকারের কারণে দেখতে পাননি রিক্সাচালক। স্পিডব্রেকারেও কোনো চিহ্ন ছিল না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন