মেগা প্রকল্পের অর্থে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উন্নতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, মেগা প্রকল্প থেকে যে অর্থ লুট হচ্ছে তার মাধ্যমে দুর্নীতি করে দেশকে ধবংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ২০০৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ১৯টি মেগা প্রকল্পের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। এই মেগা প্রকল্পের উন্নয়নে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে না, তারা শুধুমাত্র হয়রানি শিকার হয়েছে, তাদের অর্থ লুট করা হচ্ছে। মেগা প্রকল্পে টাকা অংশীদার হয়েছে আওয়ামী লীগ, অংশীদার হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা, অংশীদার হয়েছে শেখ হাসিনা।
গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘তারেক রহমান ঐক্য পরিষদ; নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নয়নের কথা সরকার বলছে, একটা শ্রেনী বা গোষ্ঠির উন্নয়ন হচ্ছে। এই উন্নয়ন সাধারণ মানুষের নয়, এই উন্নয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উন্নয়ন হচ্ছে। এর ফলে আজকে দেশ এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়েছে যেখানে মানুষ দুই বেলা খাওয়ার জন্য তার যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সংস্থান করা প্রয়োজন সেটাও করতে পারছে না।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ সরকারের পতন উল্লেখ করে নোমান বলেন, এই সরকারের পতনের যে আন্দোলন এই আন্দোলন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ নয়।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার যে সাংবিধানিক কার্যক্রম, সেই কার্যক্রম দেশে পরিচালিত হচ্ছে না। সেজন্য বিএনপির নেতৃত্ব আজকে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ করে যে আন্দোলন গড়ে তুলছে সেই আন্দোলনই হবে সরকার পতনের আন্দোলন। এই আন্দোলন হবে এক দফার আন্দোলন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলন। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে একটি নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা হবে, সেই সরকারের তত্ত্বাবধায়নে যে নির্বাচন হবে তার মধ্য দিয়ে দেশের জনগণ মুক্তি পাবে, আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব। জনগণকে দূর্বার আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহবানও জানান তিনি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুম আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, স্বেচ্ছাসেবক দলের মহানগর নেতা এসএম জিলানী, ফখরুল ইসলাম রবিন, নজরুল ইসলাম, কাজী রওনাকুল হোসেন রিয়াজ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন