শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ডিজেল ব্যবহারে ‘লাগাম’

জ্বালানিতে সঙ্কট : চাহিদা বৃদ্ধির কারণ খুঁজছে বিপিসি

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল, পেট্রল, অকটেন আমদানি প্রক্রিয়ায় আগের পরিমাণ ও ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েছে। এতে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদার তুলনায় ক্রমেই বাড়ছে জ্বালানি তেলের ঘাটতি। আবার আমদানি কমে যাওয়ায় দ্রুত কমছে মজুত। এরইমধ্যে জ্বালানি তেলের নিরাপত্তা মজুত ৪৫ দিন থেকে কমে ২৮ দিনে নেমে এসেছে। দেশে চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি প্রাপ্তি এবং ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় বড় ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে সংকট। একদিকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে ডলার সঙ্কট পরিস্থিতিকে ক্রমেই জটিল করে তুলছে। এ খাতে সরকারকে বছরে ৫১ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। লোডশেডিং শুরুর পর থেকে ডিজেলের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। হঠাৎ চাহিদা বৃদ্ধির কারণ খুঁজছে বিপিসি। তবে ডিজেল ব্যবহারের আগাম টেনে ধরতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
ডিজেলের মজুত আছে ২৯ দিনের। খালাসের অপেক্ষায় আরও তিন জাহাজ। আমদানির ঋণপত্র ও বিল পরিশোধে জটিলতা কাটেনি। দেশে জ্বালানি তেলের মজুত নিয়ে এখনো ঘাটতি তৈরি হয়নি। সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা ডিজেলের মজুত আছে ২৯ দিনের। এর বাইরে চট্টগ্রামবন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আছে বিদেশ থেকে ডিজেল নিয়ে আসা আরও তিনটি জাহাজ। আমদানির নিয়মিত ক্রয়াদেশও চলছে। তবে ঋণপত্র (এলসি) খোলা ও বিল পরিশোধে জটিলতা কাটেনি। তাই মজুত ধরে রাখা নিয়ে শঙ্কা আছে।
লোডশেডিং শুরুর পর ডিজেলের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। হঠাৎ চাহিদা বৃদ্ধির কারণ খুঁজছে বিপিসি।
পরিকল্পিত লোডশেডিং শুরুর পর গত এক সপ্তাহে ডিজেল বিক্রি বেড়েছে। জ্বালানি তেল পরিবেশকরা (ডিলার) বলছেন, ডিজেল জেনারেটরের ব্যবহার বাড়তে থাকায় চাহিদা বেড়েছে। সংকটের ভয়ে কেউ কেউ বাসায় মজুত করছেন। কেউ কেউ গাড়িতেও বেশি নিচ্ছেন। এখন এই বাড়তি চাহিদা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। সরকার অনুমোদিত পরিবেশকদের নিয়মিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীনে থাকা তিন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা। এ জ্বালানি তেল কিনে নিয়ে পরিবেশকেরা নিজস্ব পেট্রলপাম্প থেকে ডিজেল, পেট্রল ও অকটেন বিক্রি করে গ্রাহকের কাছে।
পেট্রলপাম্প ব্যবসায়ীদের দাবি, এক সপ্তাহে ডিজেলের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। আর অকটেন ও পেট্রলের চাহিদা বেড়েছে ১০ শতাংশ। তাই তারা বেশি হারে জ্বালানি তেলের চাহিদা দিচ্ছেন। তবে চাহিদা অনুসারে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হবে না বলে গত সোমবার রাতে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। সপ্তাহে ৫০ হাজার লিটারের চাহিদা থাকলে ৩৫ হাজারের বেশি দেওয়া হবে না। জ্বালানি খাতে মোটা অঙ্কের ভর্তুকি টানতে সরকারকে যেমন হিমশিম খেতে হচ্ছে, অন্যদিকে ডলার সংকটে চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেলও আমদানি করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জ্বালানি ইস্যুতে সরকারকে নিতে হচ্ছে নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপে। তবে সরকার সংশ্লিষ্টদের মতে, অচিরেই কেটে যাবে এই অনিশ্চয়তা।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার ম. তামিম বলেন, জ্বালানি তেল আমদানি কমাতে হলে পরিবহনে ব্যবহার কমাতে হবে। সেটা তো সম্ভব হচ্ছে না। সরকার হয়তো বুঝেশুনে ডলার খরচ করছে। তবে জ্বালানি তেল অগ্রাধিকার পণ্য, এটি আনতেই হবে, সরবরাহ করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ইনকিলাবকে বলেন, যুদ্ধ-পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক দেশই সংকটে পড়েছে। বাংলাদেশও এ মাসের শুরু থেকেই স্পট মার্কেট থেকে গ্যাস আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু এলএনজি নয়, ডিজেল ব্যবহারও আমরা নিয়ন্ত্রণ করছি। কারণ আমাদের সবচেয়ে বড় জ্বালানি হলো ডিজেল। বিদ্যুতে এই জ্বালানির ব্যবহার আছে ১০ শতাংশ। বিদ্যুতের এ ১০ শতাংশসহ অন্যান্য খাত থেকে আরো ১০ শতাংশ ডিজেলের সাশ্রয় করতে পারলে দেশে জ্বালানি নিয়ে সমস্যা হবে না।
জ্বালানির মজুত পরিস্থিতি নিয়ে বিপিসি চেয়ারম্যান (সচিব) এবিএম আজাদ ইনকিলাবকে বলেন, এখন পর্যন্ত দেশে জ্বালানি তেলের মজুত ও সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। চাহিদা বুঝে ৩০ থেকে ৪০ দিনের মজুত রাখা হয়। গুজবে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আগামী এক মাসের মধ্যে আরও ৭ থেকে ১০টি জাহাজ দেশে আসবে জ্বালানি তেল নিয়ে। জ্বালানি তেল বিক্রয়ের সরকারি কোম্পানি পদ্মা ও মেঘনার সবচেয়ে বেশি ডিজেল মজুতের সক্ষমতা রয়েছে। পদ্মার ডিজেল মজুত সক্ষমতা ১ লাখ ৬৭ হাজার টন এবং মেঘনার সক্ষমতা প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টন। বর্তমান মজুতের পরিমাণ না জানালেও এ দুটি কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, এখন ডিজেলের কোনো সঙ্কট নেই। পেট্রলপাম্প মালিক সমিতির নেতারাও সরবরাহে কোনো ঘাটতি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে সরবরাহ কমার শঙ্কা আছে। ঋণপত্রে জটিলতা পুরোপুরি কাটেনি।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাসে তেল জাতীয় জ্বালানি পণ্য আমদানিতে পরিশোধ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরে একই সময়ে তা ছিল ৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে ব্যয় বেড়েছে ১০৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ সময়ে এলসি খোলায় ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার, আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ব্যয় বেড়েছে ১১১ শতাংশ। এদিকে বেশি দামে ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল, পেট্রল, অকটেন আমদানি প্রক্রিয়ায় আগের পরিমাণ ও ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েছে। এতে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদার তুলনায় ক্রমেই বাড়ছে জ্বালানি তেলের ঘাটতি। আবার আমদানি কমে যাওয়ায় দ্রুত কমছে মজুত। এরইমধ্যে জ্বালানি তেলের নিরাপত্তা মজুত ৪৫ দিন থেকে কমে ৩৫ দিনে নেমে এসেছে।
চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশে জ্বালানির সরবরাহ করে থাকে দুটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে তেলভিত্তিক জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে বিপিসি। সরকারি এ সংস্থাটির তথ্য বলছে, জ্বালানি তেল ব্যবহারে বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৭৪তম। সবশেষ ২০২১ সালের জ্বালানি ব্যবহারের হিসাব অনুযায়ী বার্ষিক চাহিদা ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার টন। সে হিসাবে দৈনিক জ্বালানি চাহিদা ১৮ হাজার ৬৮ টন। এ সার্বিক চাহিদার মধ্যে দেশীয় উৎস থেকে পাওয়া জোগান দিয়ে চলে এক মাসেরও কম সময়।
অপরদিকে গ্যাসভিত্তিক জ্বালানির সরবরাহ দেয় পেট্রোবাংলা। সরকারি এই সংস্থার উৎপাদন, বণ্টন ও সরবরাহ চিত্রের হিসাব বলছে, বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা আছে ৩৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর বিপরীতে দৈনিক উৎপাদন ২৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট। ঘাটতি পূরণে বিদেশ থেকে দৈনিক এলএনজি আমদানি হয় ৫৯০ মিলিয়ন ঘনফুট। সব মিলিয়ে বর্তমানে দেশে দৈনিক ৩১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এ হিসাবে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের দৈনিক ঘাটতি রয়েছে ৫৪০ মিলিয়ন ঘনফুট।
বর্তমানে কয়লা থেকে ৬ দশমিক ৮৯, গ্যাস থেকে ৫০ দশমিক ৮৪, ফার্নেস অয়েল থেকে ২৬ ও ডিজেল থেকে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে মোট ৪৪ দশমিক ৮ লাখ টন ডিজেল, ৪৩ দশমিক ৫ লাখ টন ফার্নেস অয়েল, ৩ দশমিক ৭ লাখ টন পেট্রল, ২ দশমিক ৯ লাখ টন অকটেন ও ২ দশমিক ৩ লাখ টন জেট ফুয়েল ব্যবহার হচ্ছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জ্বালানির আমদানি খরচে রাশ টানতে সরকার ডিজেলের ব্যবহার কমানোর দিকে নজর দিয়েছে। এ জন্য দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন ও এর ব্যবহার কমানো শুরু হয়েছে।
জ্বালানি তেল আমদানি ও সরবরাহের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বিপিসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে ডিজেল মজুতের ক্ষমতা ৬ লাখ ৪ হাজার ৪৯৫ টন। তবে সক্ষমতার পুরোটা সব সময় ব্যবহৃত হয় না। গতকাল রোববার পর্যন্ত বিপিসির কাছে মজুত আছে চার লাখ টনের কিছু বেশি। দিনে গড়ে ব্যবহৃত হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টন। ডিজেলের অধিকাংশই ব্যবহৃত হয় পরিবহন খাতে। এ ছাড়া কৃষি সেচ ও বিদ্যুৎ খাতেও ডিজেল ব্যবহৃত হয়। বছরে তাদের মোট জ্বালানি সরবরাহের ৭৩ শতাংশই ডিজেল। বছরে ৪৫ থেকে ৪৬ লাখ টন ডিজেল বিক্রি করে বিপিসি। ডিজেল ছাড়াও বিপিসি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ফার্নেস তেল, পরিবহনের জন্য অকটেন, উড়োজাহাজের জন্য জেট ফুয়েল এবং অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে।
বিপিসির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, দেশে ফার্নেস তেলের ৪০ দিনের মজুত আছে এখন। অকটেন আছে ২২ দিনের। আর জেট ফুয়েলের মজুত দিয়ে চালানো যাবে ৩৮ থেকে ৪৫ দিন। প্রতি মাসেই সব মিলিয়ে গড়ে চার লাখ টনের বেশি জ্বালানি তেল আমদানি করে বিপিসি। এ ছাড়া বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অধিকাংশই নিজেরা ফার্নেস তেল ও ডিজেল আমদানি করে থাকে। তাই বেসরকারি খাতেও জ্বালানি তেলের মজুত আছে।
গত কয়েক দিনে ডিজেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কাছে এসে পৌঁছেছে তিনটি জাহাজ। চট্টগ্রামবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র বলছে, ১৯ জুলাই এসেছে ৩১ হাজার ৬৭৭ টন ডিজেল। আর ২৩ জুলাই এসেছে ৩৩ হাজার ৮০২ টন এবং ৩২ হাজার ৯৪২ টন ডিজেল। এ ছাড়া ১৯ হাজার ৯ টন ফার্নেস তেলের একটি জাহাজ এসেছে গতকাল। গভীর সমুদ্রে থাকা এসব জাহাজ থেকে শিগগিরই জ্বালানি তেল খালাস শুরু হবে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখন কিছুটা নিম্নমুখী। দাম কমতে থাকলে তেল আমদানিতে গতি আসতে পারে।
দেশের চাহিদার প্রায় শতভাগ জ্বালানি তেল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। জ্বালানি তেল আমদানিতে প্রতি মাসে ১৬ থেকে ১৭টি আমদানি ঋণপত্র খুলতে হয়। ডলারের ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে ব্যাংকগুলো চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে প্রায়ই অপারগতা প্রকাশ করছে। তবে জ্বালানি তেল আমদানি করতে বিদেশি সরবরাহকারীদের বিল পরিশোধ ও ঋণপত্র খোলা নিয়ে বিপিসির জটিলতা আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। যদিও বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার) সঙ্কট থাকায় ব্যাংকের দীর্ঘসূত্রতা এখনো কমেনি।
জ্বালানি বিভাগ, বিপিসি ও ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার এ পর্যন্ত জনতা ব্যাংক একটি ঋণপত্রের আংশিক খুলেছে। আরও দুটি ঋণপত্র ব্যাংকে জমা আছে। অগ্রণী ব্যাংক একটি ঋণপত্র খুলেছে, আরও দুটি জমা আছে। সোনালী ব্যাংকে দুটি ঋণপত্র আটকে আছে। বিপিসির বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে ডলার স্থানান্তর করে এ ব্যাংকের একটি ঋণপত্র খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রূপালী ব্যাংক নিয়মিত ঋণপত্র খুলছে। আর ইসলামী ব্যাংকে নতুন করে ২০০ কোটি টাকার তহবিল জমা দিয়ে একটি ঋণপত্র খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এভাবে ঋণপত্র আটকে থাকলে জ্বালানি তেল আমদানি বিঘ্নিত হতে পারে। জ্বালানি তেল সরবরাহকারী বিদেশি কোম্পানির পাওনা এখন কিস্তিতে পরিশোধ করা হচ্ছে। এটিও ঠিকমতো শোধ করা যাচ্ছে না। ব্যাংকে আটকে থাকা ঋণপত্রের মাধ্যমে আগামী মাসের জ্বালানি তেল আসার কথা রয়েছে। আর্থিক বিভাগের সহযোগিতা না পেলে জ্বালানি তেলের মজুত ও সরবরাহ ধরে রাখা নিয়ে শঙ্কায় আছে বিপিসি।
রংপুরে লোডশেডিংয়ের চাপে বিক্রি বেড়েছে ডিজেলের। রংপুর শহরের স্টেশন রোডের ছালেক মটরসের ব্যবস্থাপক নাজমুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আগে দিনে ৪০০ থেকে ৪৫০ লিটার ডিজেল বিক্রি হতো। এখন তার চেয়ে ১৫০ লিটার বেশি বিক্রি হচ্ছে। পেট্রল আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে। তবে তার পাম্পে মজুত থাকায় জ্বালানি তেলের সঙ্কট নেই।
পেট্রলপাম্প মালিক সমিতির একাংশের মহাসচিব মিজানুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, গত সপ্তাহে তার মাওয়া রোডের পেট্রলপাম্পে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার লিটার জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়েছে। এ সপ্তাহে ২৭ হাজার লিটারের বেশি দেবে না বলে জানিয়েছে পদ্মা তেল কোম্পানি। অন্যরাও একই রকম কম সরবরাহের নির্দেশনা পেয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন