যাত্রাবাড়ীর সাইনবোর্ড এলাকার তামিরুল মিল্লাত মাদরাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী হাবিবা ইসলাম মিথিলা (১৬)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্লাস শেষে বন্ধুর মোটরসাইকেলে চড়ে ফিরছিলো শেখপাড়া এলাকার বাসায়। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি। মাদরাসা থেকে সাদ্দাম মার্কেটের সামনে যেতেই মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বেপরোয়া বাস। এতে মোটর সাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায় মিথিলা। বাসটি তখন মিথিলাকে চাপা দেয়। হাসপাতালে নেয়ার পথেই মৃত্যু হয় মিথিলার। অপরদিকে সবুজবাগে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন হালিম বেপারী (৫৫) নামে এক রিকশা চালক। ময়না তদন্তের জন্য লাশ দু’টি ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যাত্রাবাড়িতে নিহত মিথিলার বন্ধু মো. শরিফুল ইসলাম জানান, গতকাল সকালে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া যান। সেখান থেকে ফেরার পথে সাইনবোর্ডের মাদরাসা হয়ে মিথিলাকে নিয়ে শেখপাড়ার বাসায় যাচ্ছিলেন। মিথিলা মোটর সাইকেলের পেছনে বসা ছিলো। সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় শীতল পরিবহণের একটি বেপরোয়া বাস মোটরসাইকেলকে পেছন দিক থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মোটর সাইকেলের পেছন থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায় মিথিলা। ওই অবস্থায় বাসটি মিথিলাকে চাপা দিয়ে সামনে এগোতে থাকে। গুরুতর অবস্থায় মিথিলাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর বাস ফেলে কৌশলে পালিয়ে যায় চালক। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। মাদরাসায় তার সহপাঠীদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মিথিলার গ্রামের বাড়ি গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আলী। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত বাসের চালককে গ্রেফতার করতে পারেনি।
অপরদিকে সবুজবাগের বাসাবোতে ট্রাকের ধাক্কায় হালিম বেপারী (৫৫) নামে এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছেন। গতকাল ভোর ৪টার দিকে খিলগাঁও ফ্লাইওভার বাসাবো ঢালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সবুজবাগ থানার এসআই ফারুক হোসেন জানান, চালকসহঅটো রিকশাটিকে ফুটপাতে উঠিয়ে দেয় বেপরোয়া ট্রাক। খবর পেয়ে ফুটপাত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় হালিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই ট্রাক ফেলে এর চালক পালিয়ে যায়। নিহতের ছেলে স্বপন জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুর শিবচর উপজেলার পূর্ব মির্জাচর মুন্সীকান্দি গ্রামে। পরিবার নিয়ে সবুজবাগ কদমতলা পূর্ব বাসাবোর একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন হালিম। উভয় ঘটনায় পৃথক থানায় মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন