যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন- শোকের মাস আগস্ট। এই মাসে বাংলার ইতিহাসে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট নেক্কারজনক এবং জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপর। সেই হত্যাকাণ্ড থেকে পরিত্রাণ পায়নি ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল ও আরিফ সেরনিয়াবাত। রক্ষা পায় নাই মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু আমার মা আরজু মণি সেরনিয়াবাতসহ নিরীহ অবলা নারী সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। এ দিক দিয়ে বিচার করলে এই হত্যাকাণ্ড গণহত্যার সামিল। কারণ সেদিন নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। গতকাল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শোকের মাস আগস্ট মাসব্যাপী কোরআন খতম, দোয়া ও অসহায়-দুস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ কার্যক্রমে তিনি এসব কথা বলেন।
পরশ বলেন, এই হত্যাকাণ্ড ছিল সুদূরপ্রসারী এক পরিকল্পিত। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতার সূর্য সম্পূর্ণরুপে উদিত হওয়ার পূর্বেই আকস্মিকভাবে অস্তমিত করা হয়েছিল। নস্যাৎ করা হয়েছিল বাঙালির দুই শতাধিক বছরের স্বাধীনতার আকাঙ্খা। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শত্রুরা প্রতিশোধ নিয়েছিল বাঙালি জাতির উপর। এই হত্যাকাণ্ড ছিল ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীতাকারী দেশি-বিদেশী পরাজিত শক্তির প্রতিশোধ।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, সাইফুর রহমান সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপ-প্রচার সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন