জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জনতা প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে। শ্যামলীতে জনতা বিক্ষোভ মিছিল করার সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গতকাল ব্যানারবিহীন সাধারণ জনতার একটি মিছিল থেকে এ ভাঙচুর চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর দুইটার পর রাজধানীর শ্যামলী শিশু মেলার সামনে কিছু বিক্ষুব্ধ মানুষ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া পুলিশের একটি গাড়ি বিক্ষোভকারীরা ঘিরে ধরে এবং সেটিতে ভাঙচুর চালায়।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে একটি মিছিল হয়েছে। ওই মিছিল থেকে পুলিশের একটি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। ওসি বলেন, মিছিলের সামনে কোনো ব্যানার ছিল না। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করেছেন। যে গাড়িটি ভাঙচুরের কথা শোনা যাচ্ছে সেটি আমাদের থানার গাড়ি না। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শ্যামলী থেকে শতাধিক মানুষের একটি বিক্ষোভ মিছিল সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিল। পথে শ্যামলী শিশু মেলার সামনে রাখা পুলিশের একটি টহল ভ্যানে ভাঙচুর চালান বিক্ষোভকারীরা। এ সময় গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্র পরিষদ রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা বিভিন্ন স্লোগানে এ ব্যর্থ সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন। এ ছাড়া কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে একাধিক সংগঠন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি প্রতিবাদ জানিয়ে বলে, রাতের আঁধারে এক লাফে ৫০ শতাংশ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি জনগণ মেনে নেবে না। অবিলম্বে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। সংগঠনটির সভাপতি কমরেড ডা. এম এ সামাদ বলেন, ‘সরকার অযাচিতভাবে হঠাৎ করে রাতের অন্ধকারে পেট্রল, অকটেন, ডিজেলের ৫০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি করেছে। এর প্রভাবে পরিবহন সেক্টরসহ দেশের প্রতিটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। দেশে এক অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন